Chandrayaan 3 Live Update: চাঁদের বুকে ইতিহাস ভারতের, ISRO প্রধানকে 'অভিনন্দন' মোদির
Chandrayaan 3 Moon Landing Live: চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব যখন ২৫ কিলোমিটার হবে, সেই সময়ই চন্দ্রযানকে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই মুহূর্তে শূন্য়ে অনুভূমিক ভাবে অবস্থান করছে চন্দ্রযান-৩।
আজ হয়তো অনেকেরই একটা ছবি চোখের সামনে ভাসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুকে মাথা রেখে কাঁদছিলেন ইসরোর তৎকালীন চেয়ারম্যান কে শিভন। পিঠ চাপড়ে তাঁকে সান্তনা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চন্দ্রযান ২ শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হয়েছিল। সালটা ২০১৯। মাত্র চার বছর পরেই পাল্টে গেল ছবিটা। চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে নামল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। তৈরি করল ইতিহাস। উচ্ছ্বাসে ভাসল গোটা দেশ, আর জোহানেসবার্গ থেকে ইসরোর পি সোমনাথকে ফোন করে অভিনন্দন জানালেন সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের পর উজ্জীবিত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র বিজ্ঞানী-আধিকারিকরা। পরবর্তী মিশনে সূর্যের দিকে 'চোখ রাখতে' চাইছেন তাঁরা। বুধের সন্ধেতেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুর (South Pole) কাছে সফলভাবে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের সাফল্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছে গোটা দেশ।
বুধ-সন্ধ্যার মাহেন্দ্রক্ষণে চাঁদ হাতে পেল ভারত। চাঁদে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে হল নতুন 'সূর্যোদয়'। উৎক্ষেপণের ৪১ তম দিনে অন্ধকার দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি জায়গায় সফলভাবে অবতরণ করল ল্যান্ডার। বিশ্বে ভারতই একমাত্র দেশ, যে চাঁদের ওই জায়গায় সফল অভিযান চালানোর কৃতিত্ব অর্জন করল।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের অগম্য স্থানে ভারত। ভারতের হাতের মুঠোয় চাঁদ। সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে চাঁদের মাটিতে নামল রোভার 'প্রজ্ঞান' (Pragyan Rover)। অবতরণের পরে চাঁদের মাটিতে শক্তি সঞ্চয় করেছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। বুধবার সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে নেমেছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। তার প্রায় সাড়ে ঘণ্টাতিনেক পরে ল্যান্ডার 'বিক্রম' থেকে নামল রোভার 'প্রজ্ঞান'।
চাঁদে চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণের পর উচ্ছ্বাসে ভেসেছে সারা দেশ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র (ISRO) প্রধানকে ফোন করে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ফোন করে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সোমনাথজি, আপনার নাম সোমনাথ, যা কিনা চাঁদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। এই জন্য আপনার পরিবারজনেরাও অনেক আনন্দিত হবেন, আমার তরফ থেকে আপনাকে, আপনার পুরো টিমকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আর সবাইকে আমার তরফ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে দিন। অনেক অনেক শুভকামনা, নমস্কার।'
চাঁদে চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণের পর, আজ সন্ধ্যায় উচ্ছ্বাসে ভেসেছে কলকাতা-সহ সারা দেশ। এই সাফল্যের পর অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, 'আমরাই প্রথম দেশ, যেটা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গিয়ে সফল ল্যান্ডিং করেছি । আপনারা দেখেছেন, নিজেদের উন্নত দেশ বলে দাবি করা, অন্য দেশগুলি পারেনি। নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যতে তাঁরা পারবেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। ভারতের বিজ্ঞানীদের মেধা, ভারত সরকারের কর্মতৎপরতা এবং উদ্যোগ দুটোই মৌলিক।'
চাঁদে সফল অবতরণ চন্দ্রযান ৩-এর। মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস, চাঁদের দেশে ভারত। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণ। চাঁদের দক্ষিণ মেরু সন্নিহিত অগম্য স্থানে ভারত। নির্দিষ্ট সময়েই চাঁদের বুকে নামল ল্যান্ডার 'বিক্রম'। সারা দেশের যাবতীয় প্রার্থনা সার্থক হল। অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমার প্রিয় পরিবার, যখন আমাদের চোখের সামনে এইরকম ইতিহাস গড়তে দেখলাম, তখন জীবন ধন্য হয়ে যায়। এরকম ঐতিহাসিক ঘটনা রাষ্ট্রজীবনের চিরঞ্জীব চেতনায় রূপ পায়। এটি একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। এই সফলতাই মূলত যাবতীয় মুশকিলের মহাসাগরকে পার করে নিয়ে যাবে। আমাদের বৈজ্ঞানিক সাথীরাও বলেছেন, চাঁদের দেশে ভারত। আজকে আমরা মহাকাশে নতুন ভারতের নয়া উড়ানের সাক্ষী হলাম।'
ভারতের হাতের মুঠোয় চাঁদ। চাঁদের বুকে ইতিহাস ভারতের। ঘড়ি মিলিয়ে চন্দ্রবক্ষে নামল চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অগম্য স্থানে পৌঁছল ভারত। মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস ভারতের। পারল না রাশিয়ার লুনা ২৫, করে দেখাল ভারতের চন্দ্রযান ৩।
চাঁদের দেশে ভারত। মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস ভারতের। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণ। চাঁদের দক্ষিণ মেরু সন্নিহিত দুর্গম স্থান জয় ভারতের।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সরাসরি চন্দ্রযান-৩র অবতরণ দেখছেন নরেন্দ্র মোদি। চাঁদের কাছাকাছি চন্দ্রযান-৩।
চাঁদের মাটি থেকে আর মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার।
ল্যান্ডারের গতিবেগ ক্রমশ কমানো হচ্ছে। এখন চাঁদের মাটি থেকে ১৫ কিলোমিটারেরও কম দূরে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার।
গতি কমানোর প্রক্রিয়া শুরু। চাঁদের মাটির দিকে এগোচ্ছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার।
গতি কমানোর প্রক্রিয়া শুরু। চাঁদের মাটির দিকে এগোচ্ছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার।
আর মাত্র কিছুক্ষণ, চাঁদের মাটিতে পা রাখার অপেক্ষায় ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরু সন্নিহিত বন্ধুর এলাকায় নামবে 'বিক্রম'। ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত, চাঁদের বুকে পা দেওয়া সময়ের অপেক্ষা। কয়েকটি ধাপে গতি কমিয়ে চাঁদের বুকে নামতে চলেছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'।
ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত। ইসরোর মিশন চন্দ্রযান ৩-কে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চাঁদের মাটি থেকে ৭.৪ কিলোমিটার ওপরে যখন ল্যান্ডার পৌঁছবে, তখন তার সমান্তরাল গতিবেগ হবে ৩৫৮ মিটার প্রতি সেকেন্ড। সেই সময় বিক্রমের ওপর থেকে নীচে নামার গতিবেগ থাকবে ৬১ মিটার প্রতি সেকেন্ডের কম।
আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬ টা থেকে শুরু হবে অবতরণ প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে বিক্রম। নামার সময় সমান্তরাল গতিবেগ থাকবে প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিলোমিটার।
বিজ্ঞানীদের আশা চাঁদের দক্ষিণ মেরু সন্নিহিত অঞ্চলে জল আছে কিনা সেই সংক্রান্ত তথ্য মিলবে চন্দ্রযান ৩ থেকে। জল থাকলেই থাকবে অক্সিজেনও। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাই ভবিষ্যৎ ভারতের জন্য এই চন্দ্রযান ৩-এর গুরুত্ব অপরিসীম।
জল থাকলেই থাকবে অক্সিজেনও। চাঁদে উপনিবেশ গড়ে তোলার প্রশ্নে এই তথ্য খুবই জরুরি।
২০০১ সালে চন্দ্রযান ১ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার কোটি লিটার জলীয় বরফ আছে চাঁদে। তাই বিজ্ঞানীদের আশা চাঁদের দক্ষিণ মেরু সন্নিহিত অঞ্চলে জল আছে কিনা সেই সংক্রান্ত তথ্য মিলবে চন্দ্রযান ৩ থেকে।
শেষ মুহর্তে বিক্রমের গতি কমানোই ইসরোর কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। আরও বড় চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ মেরু সন্নিহিত বন্ধুর এলাকায় চন্দ্রযানকে সফট ল্যান্ডিং করানো।
ISRO জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের মানুষ চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের অবতরণ দেখতে পারবেন সরাসরি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ২৭ মিনিটে ISRO-র ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে। ISRO-র ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের অবতরণ। এর পাশাপাশি DD National টিভি চ্যানেলেও দেখানো হবে সরাসরি। (Chandrayaan 3 Landing Broadcast)
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের সাক্ষী হতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ১৪০ কোটি ভারতীয়। দেশে বসে সরাসরি ঐতিহাসিক ওই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারবেন ভারতীয়রা। বিদেশ থেকেও দেখা যাবে সরাসরি সম্প্রচার। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO সরাসরি সম্প্রচার করবে। সরাসরি সম্প্রচারিত হবে DD ন্যাশনাল চ্যানেলেও।
শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও চলছে পুজো অর্চনা। মার্কিন মুলুকে নিউ জার্সিতে শ্রী সাই বালাজী মন্দিরে হয়েছে বিশেষ পুজো। বিশেষ হোম হয়েছে ভার্জিনিয়ার মন্দিরেও।
একদিকে যেমন মন্দিরে-মন্দিরে চলে অর্চনা, তেমনই রাজস্থানের আজমেঢ় শরিফে (Ajmer Sharif Dargah in Rajasthan ) হয়েছে প্রার্থনা । বিজেপি নেতা মহসিন রাজা মঙ্গলবার লখনউয়ের হজরত শাহ মীনা শাহ দরগায় চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনায় প্রার্থনা জানান।
চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনা করে বিশেষ বার্তা পাঠালেন বিখ্যাত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। তিনি বলেছেন, 'চন্দ্রযান ৩ কে নিয়ে আমি ভীষণ রোমাঞ্চিত। এই প্রকল্পের সাফল্য কামনা করি।'
চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে আর পাঁচ ঘণ্টার সামান্য বেশি কিছু সময় বাকি। দেশজুড়ে চলছে প্রার্থনা। ময়ূর বিহার -৩তে বিদ্যা বালভবন পাবলিক স্কুলে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ও স্লোগান তুলে চলছে অপেক্ষা।
জম্মু ও কাশ্মীরে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ প্রদর্শনী করে দেখানো হচ্ছে কীভাবে সফল অবতরণ হবে চন্দ্রযান ৩-এর। গোটা প্রকল্পের সাফল্য কামনা করে গানও গাইছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
মঙ্গলবারই বিশেষ পুজো আয়োজন করা হয় শিবক্ষেত্র বারাণসীতে। এছাড়ও উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে বিশের ভস্মারতি অনুষ্ঠিত হয়। শ্রী গণেশ মন্দির বিশেষ পুজো দিয়েছেন এনসিপি কর্মী-সমর্থকরা। চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করতে ছতরপুরের বাগেশ্বর ধামে সমবেত হয়েছেন বিপুল সংখ্যক ভক্ত।
সারা বিশ্বজুড়েই চলছে পুজো অর্চনা। এবার যাতে আর কোনও বিপত্তি না হয়, তার জন্য যাত্রা শুরুর আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা পুজো দিয়েছিলেন তিরুপতি মন্দিরে। অবতরণের দিন পুজো হল দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বর মন্দিরে। রামেশ্বরম অগ্নি তীর্থে আয়োজন হয় বিশেষ যজ্ঞের।
চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে বিক্রম। নামার সময় সমান্তরাল গতিবেগ থাকবে প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিলোমিটার। চাঁদের মাটি থেকে ৭.৪ কিলোমিটার ওপরে যখন ল্যান্ডার পৌঁছবে, তখন তার সমান্তরাল গতিবেগ হবে ৩৫৮ মিটার প্রতি সেকেন্ড। সেই সময় বিক্রমের ওপর থেকে নীচে নামার গতিবেগ থাকবে ৬১ মিটার প্রতি সেকেন্ডের কম।
আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬ টা থেকে শুরু হবে অবতরণ প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে বিক্রম।
ভারতের চন্দ্রাভিযান যাতে পাকিস্তানেও দেখা যায় তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ইমরানের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি।
ইতিহাসের অপেক্ষায় ভারত। আজ সন্ধেয় চাঁদে ভারতের বিক্রম। এবিপি আনন্দে সরাসরি সম্প্রচার। খুঁটিনাটি বিশ্লেষণে জ্যোতির্বিজ্ঞানী। চাঁদ-মারি, বিকেল চারটেয়।
আজ সন্ধেয় চাঁদে নামছে চন্দ্রযান তিন। অধীর অপেক্ষায় গোটা দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভার্চুয়ালি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানেও অভিযান দেখানোর দাবি।
চন্দ্রযান - ৩ এর সাফল্য কামনায় দেশজুড়ে পুজো। বিশেষ ভস্মারতি উজ্জয়িনীতে।
বুধবার সন্ধে ৬টা ০৪-এ চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে চন্দ্রযান ৩। চাঁদে ল্যান্ডার 'বিক্রমের' অবতরণের সময় নির্দিষ্ট করে জানিয়েছে ISRO।
গত ১৪ জুলাই, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রওনা হয় চন্দ্রযান-৩। এবার হাতের মুঠোয় চাঁদ পেতে রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ।
চাঁদ ছুঁতে তৈরি চন্দ্রযান ৩। আজ সন্ধে ৬টা ০৪-এ অগ্নিপরীক্ষার মুখে ল্যান্ডার বিক্রম। এই অভিযান সফল হলে, নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা পাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা।
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব যখন ২৫ কিলোমিটার হবে, সেই সময়ই চন্দ্রযানকে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই মুহূর্তে শূন্য়ে অনুভূমিক ভাবে অবস্থান করছে চন্দ্রযান-৩। অবতরণের সময় অবস্থান হবে উল্লম্ব। উল্লম্ব ভাবে অবতরণ করালেই পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ানো সম্ভব চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তার সাক্ষী হতে উৎসাহ, উদ্দীপনায় ফুটছে গোটা দেশ। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র দফতরে এই মুহূর্তে কার্যতই প্রমাদ গোনা চলছে। কারণ, শূন্য থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযানকে নামানোর জন্য় যে ২০ মিনিটের সময় বরাদ্দ করা হয়েছে, তার উপর ভারতের মহাকাশ গবেষণার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। (Chandrayaan 3 Landing)
বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে পালকের মতো চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩ । সবমিলিয়ে প্রায় ২০ মিনিটের মতো সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ২০ মিনিটকে রুদ্ধশ্বাস ক্রিকেট টি-২০ ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করছেন বিজ্ঞানীরা। (Chandrayaan-3 Live Tracking)
এর আগে, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানটিকে নামানোর সময় শেষের ১৫ মিনিটই নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করেছিল। শেষ পর্যন্ত পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁতে পারেনি চন্দ্রযান-২। বরং সজোরে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে সেটি। সেই সময় প্রকাশ্যেই ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল ISRO-র তৎকালীন চেয়ারম্যান কে শিবনকে। পরবর্তী কালে ওই ১৫ মিনিটকে 'সন্ত্রাসের মুহূর্ত' বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এবার যথেষ্ট সন্তর্পণে এগনো হলেও, শেষের ওই ২০ মিনিটে যাতে সবকিছু ওলটপালট না হয়ে যায়, সেই চিন্তাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব যখন ২৫ কিলোমিটার হবে, সেই সময়ই চন্দ্রযানকে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই মুহূর্তে শূন্য়ে অনুভূমিক ভাবে অবস্থান করছে চন্দ্রযান-৩। অবতরণের সময় অবস্থান হবে উল্লম্ব। উল্লম্ব ভাবে অবতরণ করালেই পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ানো সম্ভব চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে।
ISRO সূত্রে খবর, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময় মহাকাশযানের গতি শ্লথ রাখা হবে। প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিলোমিটার গতিতে নামানো হবে নীচের দিকে, ঘণ্টার হিসেবে যা ৬০৪৮ কিলোমিটার। মহাজগতের নিরিখে এই গতি শ্লথ হলেও, পৃথিবীতে বিমানের গতির তুলনায় অবতরণের সময় চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের গতি প্রায় ১০ গুণ বেশি থাকবে।
চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে দূরত্ব যত কমবে, ততই গতি কমিয়ে আনা হবে ল্যান্ডার 'বিক্রমে'র। বিজ্ঞানের ভাষা এই পর্যায়কে বলা হয় 'রাফ ব্রেকিং'। অবতরণের সময় চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের এই 'রাফ ব্রেকিং'-এর জন্য ১১ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। এর পর শুরু হবে 'ফাইন ব্রেকিং' পর্যায়, ঠিক যে পর্যায়ে চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব যখন ৮০০ মিটার হবে, গতি নামিয়ে আনা হবে শূন্যে। নামার আগে জমি জরিপ করে নেবে ল্য়ান্ডার 'বিক্রম'। এর পর দূরত্ব কমে যখন ১৫০ মিটারে পৌঁছবে, চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে, যা দেখে অবতরণের উপযুক্ত জায়গা বেছে নেওয়া হবে। তাতে বসানো সেন্সর চন্দ্রভূমির স্পর্শ পেলে, ল্যান্ডারের চারটি পা যখন মাটি ছোঁবে, ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবেন বিজ্ঞানীরা। চাদের মাটিকে বলা হয় রেগোলিথ। অবতরণের পর ওই মাটি থিতিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে। এর পর ল্যান্ডার থেকে আলাদা হয়ে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার 'প্রজ্ঞান'। চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার 'প্রজ্ঞান'। তবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পর নিজ নিজ জায়গায় থিতু হয়ে, সবার আগে পরস্পরের সেলফি তুলবে 'বিক্রম' এবং 'প্রজ্ঞান'। মুহূর্তের মধ্যেই তা হাতে এসে পৌঁছবে ISRO-র বিজ্ঞানীদের।
ল্য়ান্ডার 'বিক্রম' এবং রোভার 'প্রজ্ঞান' চাঁদের বুকে এক চন্দ্রদিবস অতিবাহিত করবে, পৃথিবীর হিসেবে যা ১৪ দিন। সব ঠিক থাকলে, চন্দ্রপৃষ্ঠে পালকের মতো অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠবে ভারতের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -