নয়াদিল্লি: জুলাইয়ে উৎক্ষেপণ হয়েছিল। অঙ্ক মেনে ঠিক ছিল ২৩ আগস্ট, বুধবার সন্ধেয় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (Moon South Pole) সফট ল্যান্ডিং করবে ভারতের চন্দ্রযান ৩। কিন্তু দক্ষিণ মেরুর ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল। গভীর খাদ ও পাহাড় রয়েছে ওই এলাকায়। সেখানে ঠিকমতো ল্যান্ডিং স্পট অর্থাৎ নামার জায়গা পাওয়াটাই বড়সড় চ্যালেঞ্জ। আগে চন্দ্রযান ২ শেষ মুহূর্তের ওই কাজ করতে ব্যর্থ রয়েছে। কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার লুনা (Luna) দক্ষিণ মেরুতে নামতে গিয়ে ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগে একটি সম্ভাবনার কথা বলেছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. বলা হয়েছিল যদি সুবিধাজনক পরিস্থিতি না পাওয়া যায়, তাহলে ২৩ অগাস্টের পরিবর্তে ২৭ অগাস্ট অবতরণ করানো হবে। সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর ড. পি ভেঙ্কিটাকৃষ্ণন। পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, 'সবকিছুই এখন ঠিকমতো হচ্ছে। আমার মনে করছি না কোনও সমস্যা হবে। অনেকেই ২৭ অগাস্টের কথা বলছেন। কিন্তু সেটা আদতে একটা ব্য়াকআপ।'


কেন আলোচনা ২৭ অগাস্ট নিয়ে?
ল্যান্ডার মডিউলে যদি কোনও অসুবিধা হয়। কোনও কারণে মনে হয় কোনওরকম সমস্যা হতে পারে, তাহলে অবতরণ হতে পারে ২৭ অগাস্ট। ২১ অগাস্ট এমনটাই জানিয়েছিল ISRO. ইসরো আহমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীতিন এম দেশাই জানিয়েছিলেন এমন কথা। তিনি বলেছিলেন, 'নির্দিষ্ট সময়ের আগে একবার দেখা হবে ল্যান্ডারের স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, চাঁদের পরিস্থিতি কেমন রয়েছে। যদি সমস্য়ার আঁচ পাওয়া যায় তাহলে ২৭ আগস্ট অবতরণ করা হবে।'


 






কীভাবে অবতরণ:
আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬ টা থেকে শুরু হবে অবতরণ (Chandrayaan 3) প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে বিক্রম। নামার সময় সমান্তরাল গতিবেগ থাকবে প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিলোমিটার। চাঁদের মাটি থেকে ৭.৪ কিলোমিটার ওপরে যখন ল্যান্ডার পৌঁছবে, তখন তার সমান্তরাল গতিবেগ হবে ৩৫৮ মিটার প্রতি সেকেন্ড। সেই সময় বিক্রমের ওপর থেকে নীচে নামার গতিবেগ থাকবে ৬১ মিটার প্রতি সেকেন্ডের কম। এরপর চাঁদের মাটি থেকে ৬.৮ কিলোমিটার উঁচুতে যখন চন্দ্রযান থাকবে, তখন সমান্তরাল গতিবেগ কমে হবে ৩৩৬ মিটার প্রতি সেকেন্ড। ওপর থেকে নীচে নামার গতিবেগ বদলে হবে সেকেন্ডে ৫৯ মিটারের কম। এরপরে চাঁদের মাটি থেকে ১৩০০ মিটার ওপরে যখন পৌঁছবে বিক্রম, তখন সমান্তরাল এবং উল্লম্ব গতিবেগ দুইই এসে পৌঁছবে শূন্যে। এরপর সফট ল্যান্ডিং (Soft Landing) করবে চন্দ্রযান তিন। 


আরও পড়ুন: 'যে টাকায় চন্দ্রাভিযান, সেই টাকায় উন্নয়ন সম্ভব', কটাক্ষ ইদ্রিশের


আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের সবকটি অভিযানের খুঁটিনাটি