নয়াদিল্লি: পিছিয়ে গেল চন্দ্রায়ন ৩-এর উৎক্ষেপণের দিন। Indian Space Research Organisation (ISRO) -এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১৪ জুলাই চন্দ্রায়ন ৩ উৎক্ষেপণ করা হবে। মাত্র একদিন পিছোন হয়েছে দিন। এর আগে ১৩ জুলাই উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। 


১৪ জুলাই ভারতীয় সময়ে ২ টা বেজে ৩৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ হবে চন্দ্রায়ন ৩-এর। এটি চন্দ্রায়ন ২-এর পরের মিশন। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পাঠানো হবে চন্দ্রায়ন ৩।


 






সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, ISRO চেয়ারম্যান এস সোমানাথ বৃহস্পতিবার বলেছেন যে চন্দ্রযান-৩, ২৩ বা ২৪ আগস্ট চাঁদে সফট-ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করবে।


 






চন্দ্রায়ন-৩ (Chandrayaan 3 )-এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে উচ্চভূমিতে একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার স্থাপন করা। এছাড়াও একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আন্তঃগ্রহ যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রযুক্তির বিকাশ দেখা।          


একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার এবং একটি প্রপালশন মডিউল নিয়ে গঠিত, চন্দ্রযান-৩ এর মোট ওজন ৩৯০০ কিলোগ্রাম। প্রপালশন মডিউলের ওজন ২১৪৮ কিলোগ্রাম। রোভারটির ওজন ২৬ কিলোগ্রাম। রোভারটি চন্দ্রযান-২-এর বিক্রম রোভারের মতোই হবে, তবে কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত একাধিক উন্নতি করা হয়েছে। 


চন্দ্রায়ন-৩ (Chandrayaan 3 ) ল্যান্ডারটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি চাঁদে একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করে রোভার স্থাপন করতে পারে, যার লক্ষ্য চন্দ্রপৃষ্ঠের রাসায়নিক বিশ্লেষণ পরিচালনা করা। প্রপালশন মডিউল ল্যান্ডার মডিউলটিকে ১০০ কিলোমিটার বৃত্তাকার কক্ষপথে নিয়ে যাবে। এই কক্ষপথে পৌঁছানোর পর, ল্যান্ডার মডিউল এবং প্রপালশন মডিউল আলাদা হয়ে যাবে। প্রপালশন মডিউল আ লাদা হওয়ার পরে চাঁদের কক্ষপথে থাকবে এবং একটি রিলে স্যাটেলাইট হিসাবে কাজ করবে। ল্যান্ডার, রোভার এবং প্রপালশন মডিউলগুলি তাদের নিজস্ব পেলোড বহন করবে।         


আরও পড়ুন: একাধিকের সঙ্গে সম্পর্ক, মেনে নিতে পারে না সঙ্গিনীরাও! রেগে ডিভোর্স করে পাখিরাও