মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে শুক্রবার থেকে সূচনা হয়েছে নতুন কর্মসূচি ‘বঙ্গধ্বনি’-র। আর সেই কর্মসূচিতে এবার ফের প্রকাশ্য তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি। হলদিয়ায় ‘বঙ্গধ্বনি’-র প্রচার সভায় তৃণমূল কর্মীদের তুমুল বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে এল। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত পুরসভার চেয়ারম্যানকে কটুক্তি করেন দলের কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, হলদিয়ায় সেই কর্মসূচির প্রচারে সুতাহাটা থেকে মঞ্জুশ্রী মোড় পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলের পর মঞ্জুশ্রী মোড়ে দলীয় সভা হয়। সেখানেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দুর্নীতির অভিযোগে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুরপ্রধান শ্যামল আদক। সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুধাংশু মণ্ডল, সহ সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, যুব সভাপতি আসগর আলি সহ অন্যান্য নেতার। দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, শ্যামল আদক শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ। তাই সাধারণ কর্মীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তবে এই নিয়ে ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুরপ্রধান। তবে তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে হেনস্থা করার জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়। বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঘটনাকে ঘিরে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে। এরা নিজেরাই গণ্ডগোল করে শেষ হয়ে যাবে। মানুষ সব বুঝতে পারছে। ২০২১-এ বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।
শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে রাজ্য-রাজনীতিতে। তার মধ্যে তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত পুরপ্রধানকে হেনস্থার ঘটনা তৃণমূল শিবিরের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।