নয়া দিল্লি: উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে অবৈধ গণ ধর্মান্তর চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS) দুই প্রধান অভিযুক্ত, স্বঘোষিত ধর্মগুরু জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবা এবং তার ছেলে মেহবুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘ছাঙ্গুর বাবা’ জোর করে এবং প্রলোভনের মাধ্যমে ১,৫০০ জনেরও বেশি হিন্দু মহিলা এবং হাজার হাজার অমুসলিমকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। যার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করা।
আধিকারিকদের মতে, চার্জশিটে ২৯ জন সাক্ষীর বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ১০ জন ভুক্তভোগী যারা সরাসরি চাপ বা বলপ্রয়োগের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মহিলা আছেন যিনি মেহবুব এবং তার সহযোগী নবীন রোহরার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরের নামে যৌন হেনস্থা এবং হয়রানির অভিযোগ করেছেন।
শুধু ভারতের বিঙিন্ন রাজ্যেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও গভীর যোগাযোগ ছিল তাঁর। দুবাইতে এই 'বাবা'র উপস্থিতি ছিল। ধর্মীয় কার্যকলাপের আড়ালে চলত অনৈতিক কাজকর্ম। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের কাছে। এরপরই সক্রিয় হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ‘ছাঙ্গুর বাবা’ ওরফে ‘পীর বাবার’ প্রাসাদোপম বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভোটের সময়ও মুড়মুড়কির মতো টাকা ছড়ানো। এমন সব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের 'ছাঙ্গুর বাবা'র বিরুদ্ধে । তাঁর বিরুদ্ধে এক যোগে তদন্ত করছে এটিএস ও ইডি। প্রতিদিন চমকে দেওয়া সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। প্রশ্ন উঠছে , ১০০ কোটি টাকার বিদেশি তহবিল, এত বিরাট নেটওয়ার্ক, অন্যায্য ভাবে ধর্মান্তকরণের এমন বিরাট ব়্যাকেট এতদিন কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠল? কেন এল না প্রকাশ্যে। এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার বিষয়ে ।
মূল চক্রী ছাঙ্গুর বাবা বিভিন্ন প্রভাবশালী ও আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার সময় নিজেকে আরএসএস-অনুমোদিত সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমনকী সংগঠনের লেটারহেডে ছবি ব্যবহার করতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ! ছাঙ্গুর বাবা, ওরফে জামালুদ্দিন ছিলেন ভারত প্রতিকার্থ সেবা সংঘ নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক । সেটা চালাতেন আরেক মূল অভিযুক্ত, ঈদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
অনেকদিন ধরেই গোয়েন্দারা নজর রেখেছিল তাঁদের উপর।