চেন্নাই: হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা কোভিড রোগীরা বাড়ির বাইরে বেরোলেই গুনতে হবে জরিমানা। একবার ভুলের পর ফের একই কাজ করলে সোজা কোভিড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হবে করোনা পজিটিভ রোগীদের। এমনই জানিয়েছে গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন।


চেন্নাই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে যে, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা করোনা পজিটিভদের সঙ্গে তাদের পরিবারের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। মঙ্গলবার বাড়িতে থাকা কোভিড রোগীদের জন্য একটি বিবৃতি প্রকাশ করে গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন। সেখানে বলা হয়, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা রোগীদের সুবিধার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের যাতে বাড়ির বাইরে না আসতে হয়, সেদিকেও নজর দিয়েছে পুরসভা। 


হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীদের জন্য ২০০০ ফোকাস ভলেন্টিয়ারস কাজ করে চলেছে এলাকায়। এরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। এমনকী পুরসভার হয়ে রেগুলার হেলথ মনিটরিংয়ের কাজও করছে এই টিম। এদের ওপরই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা রোগীদের নজদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ বাড়ির বাইরে এলেই ব্যবস্থা নেবে গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন। মূলত, সংক্রমণ এড়াতেই এই কড়া পথ নিয়েছে পুরসভা।


বাড়িতে থাকা কোভিড রোগীরা নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন প্রতিবেশীরাও। পুরসভার দেওয়া নম্বরে ফোন করলেই জরিমানা করা হবে রোগীদের। একই ভুল বার বার করলে ওই করোনা রোগীদের পাঠানো হবে কোভিড কেয়ার সেন্টারে। কেন এত কড়াকড়ি তা নিয়ে মুখ খুলেছেন গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন কমিশনার গগন সিং বেদি। চেন্নাইয়ের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সবাইকে সহযোগিতা করতে বলেছেন তিনি। চেন্নাইয়ের সোমবারের করোনা চিত্র বলছে, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১৫০ জন। সক্রিয় করোনা রোগী ৪৮,১৫৬ জন।


এদিন রাজ্যে পর্যাপ্ত করোনোর টিকা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্তালিন। তিনি বলেন, রাজ্যেই কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ছাড়াও উন্নত মানের মেডিক্যাল সরঞ্জাম প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে আহ্বান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকা দিয়ে পিপিপি মডেলে কাজ শুরু করতে পারবে কোম্পানিগুলি।