নয়াদিল্লি: আটক জওয়ানের মুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের নাম জানাক সরকার। মাওবাদী হামলার ৪ দিন পর ছত্তীসগঢ় সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়েছে মাওবাদী সংগঠন। তারা জানিয়েছে, ঘটনার দিন এক সিআরপিএফ জওয়ানকে আটক করে তারা। ওই জওয়ান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মাওবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই জওয়ান সুরক্ষিত আছেন।
ঘটনার ৪ দিন পর মাওবাদীদের পক্ষ থেকে নিহতদের সংখ্যা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলাও। তাদের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করেছেন মুখাপাত্র বিকল্প। ওই বিবৃতিতে মৃতদের নাম এবং ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের নাম নুপো সুরেশ, কাওয়াসি বাদরু, পদম লখমা, মানদভি সুক্ক। মৃত মহিলার নাম ওডি সানি।
ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই হয় শনিবার। ২২ জন জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মাওবাদীদের খোঁজে যৌথ অভিযান চালায় সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী, ডিআরজি এবং এসটিএফ৷ তখনই তাঁদের ওপর হামলা চালায় মাওবাদীরা৷ পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও৷ গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন ২২ জন জওয়ান৷
বীজাপুরের এসপি কমলাচোন কাশ্যপ বলেছিলেন, সুকমা-বিজাপুরে সীমানায় মাওবাদীদের হামলায় ২২ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। দেশ তাঁদের ত্যাগ কখনই ভুলবে না।
মাওবাদী হামলা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। উভয় পক্ষের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের জওয়ানরা মৃত্যু বরণ করেছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। আমি সংশ্লিষ্টদের পরিবারকে বলতে চাই, এই ত্যাগ বৃথা যাবে না।
এর আগে, গত ২৩ মার্চ, ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুর জেলায় আইইডি দিয়ে বাহিনী-ভর্তি বাসে বিস্ফোরণ ঘটালে পাঁচ ডিআরজি জওয়ানের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় সুকমায় নাশকতামূলক হামলা চালানোর ছক কষার অভিযোগে তিন মাওবাদীকে গ্রেফতার করে আইটিবিপি। গতমাসে, বিজাপুরে জেলা পঞ্চায়েত সদস্যকে হত্যা করে মাওবাদীরা। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে, কোন্দাগাঁওয়ের ধানোরা এলাকায় ১১টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা।