রায়পুর: দুই মহিলার উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন দুই ব্যক্তি। বন্যার জলে ফুঁসতে থাকা নদীতে দুজন ডুবন্ত মানুষকে বাঁচালেন ছত্তিসগঢ়ের মুঙ্গেলির দুই মহিলা। দু’জনকে বাঁচাতে পারলেও তৃতীয় ব্যক্তিকে তাঁরা বাঁচাতে পারেননি।


ঘটনাটি গত ১৯ অগাস্টের। ছত্তিসগঢ়ের মুঙ্গেলি জেলার  ছিন্দভোগ গ্রামের নদীতে স্নান করছিলেন ৪০ বছরের পূর্ণিমা কেওয়ান্ত এবং বছর পঁয়ত্রিশের পঞ্চবতী। হঠাৎই চিৎকার শুনে তাঁরা দেখেন তিন জন বন্যার জলে ভেসে যাচ্ছেন।


পূর্ণিমা ও পঞ্চবতী প্রথমে সাঁতার কেটে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে ভেসে যাওয়া ব্যক্তিদের নাগাল পাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। উপায়ান্তর না-দেখে শাড়ির সঙ্গে পাড়ে পড়ে থাকা একটি লোহার রড বেঁধে ওই ব্যক্তিদের দিকে ছুঁড়ে দেন পূর্ণিমা ও পঞ্চবতী।


ভেসে যেতে থাকা দু’জন ওই শাড়ি ধরতে পারলেও তৃতীয় ব্যক্তি তা পারেনি। ইতিমধ্যেই পূর্ণিমা ও পঞ্চবতীর সঙ্গে থাকা আর এক মহিলা গ্রামবাসীদের ডাকতে যান। কিন্তু পূর্ণিমা ও পঞ্চবতী সময় নষ্ট করেননি। তাঁরা সাঁতরে ওই দুই ব্যক্তিকে পাড়ে তুলে আননে।


পাথরিয়ার মহকুমা শাসক অনুরাধা অগ্রবাল জানিয়েছেন, প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তির পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁরা হলেন ২৩ বছরের অনিল এবং ৩৫ বছরের রামেশ্বর পটেল। তৃতীয় ব্যক্তির নাম মনোজ পটেল। তাঁর বয়স ৩০ বছর। কিছু দূর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।


অনুরাধা বলেন, ‘‘অসাধারণ সাহস এবং উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে দুই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পূর্ণিমা ও পঞ্চবতী দুটি জীবন বাঁচিয়েছেন। ওদের প্রশংসা প্রাপ্য। আমি ওঁদরে নাম পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করব।’’