কলকাতা: রাজ্যপালের দিল্লি সফরকে এবার কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাচ্চা হলে বকে চুপ করানো যায়।’ শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল সম্পর্কে বলতে গিয়ে নবম শতকের প্রবাদ বাক্যও শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
এদিন সাংবাদিকদের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয় “অনেকে বলছেন ঠিক করছেন না রাজ্যপাল।“ তার উত্তরে মমতা বলেন, “সবার বলাটাই আমার বলা। একটা বাচ্চাকে বকে চুপ করানো যায়। কেন মুখ খোলাচ্ছেন?” আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নবম শতকের প্রবাদ বাক্য ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “স্পিচ ইস সিলভার, সায়লেন্স ইস গোল্ডেন।”
চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। এরপরই দিল্লি সফর রাজ্যপালের। আর এই দিল্লি সফরের আগেই ফের বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। ওই চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা, রক্তপাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন থামছে না। নারী নির্যাতন, বিরোধীদের সম্পত্তি ধ্বংস হয়েই চলছে। অথচ, এই নিয়ে আপনি আশ্চর্যজনকভাবে নীরব এবং নিষ্ক্রিয়। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণের পরেও, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় একদিনও এ ব্যাপারে আলোচনা করেননি।
দিল্লি সফরে গিয়ে গতকাল, বুধবার কয়লামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয় রাজ্যপালের। দেখা করেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গেও। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গেও তাঁর দেখা হয়। রাজ্যপালের তৎপরতা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, “উনি কার সঙ্গে দেখা করতে পারেন, সেটা ওনার ব্যপার। কয়লা নিয়ে কথা থাকলে, মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। উনি তো ওনাদের লোক। আমি কী বলব।“
এদিকে আজ, দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল । রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ জগদীপ ধনকড়ের। এদিন রাজ্যপাল প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরানো হচ্ছে কিনা, কীভাবে জানব। যখন আনা হয়েছে তখনও জানানো হয়নি। আসা যাওয়ার গানটা ওরাই গায়।। প্রধানমন্ত্রী চিঠি লিখেছিলাম, উইথড্র করার জন্য।