ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে কতটা প্রস্তুত রাজ্য? আর কোন কোন জায়গায় পরিকাঠামোয় উন্নতি প্রয়োজন? রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদি ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে এই ধরণের বিভিন্ন বিষয়ে দফায় দফায় বিস্তারিত আলোচনা চলল স্বাস্থ্য ভবনে। প্রথমে রাজ্যের অন্যান্য সচিবদের সঙ্গে ও তারপর রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক সারেন মুখ্যসচিব-স্বাস্থ্যসচিব।
প্রত্যেক জেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঠিক কী পরিস্থিতি, পরিকাঠামোগতভাবে জেলাগুলির বিভিন্ন হাসপাতালে কোনও অভাব বা সমস্যা রয়েছে কি না, সেসব নিয়ে জানতে চাওয়া হয় মুখ্যসচিব-স্বাস্থ্যসচিবের পক্ষ থেকে। আগেভাগে বাড়তি বেড সংরক্ষণ করে রাখার পরিকল্পনাও সাজানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা মোটামুটি সামলে ওঠা গিয়েছে গোটা রাজ্যেই, কিন্তু তার মাঝেই চিন্তা বাড়াচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে আগের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে বাড়তি সর্তকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা হল রাজ্য প্রশাসনের তরফে। তৃতীয় ঢেউ এলে তা সামাল দিতে রাজ্যের পরিকাঠামো কতটা প্রস্তুত সেই নিয়ে চলে বিস্তারিত আলোচনা।
ইতিমধ্যে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের তরফে তৃতীয় ঢেউ সামলাতে একাধিক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞমহল প্রকাশ করায় শিশুদের জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ-র সংখ্যা বাড়ানো থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মায়েদের টিকাদানের প্রাধান্য দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে রাজ্য।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের সময় দেখা গিয়েছিল কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতালে বেড নিয়ে অল্প সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ওই পর্বে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল মারণ ভাইরাসের দাপটে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। সেইসব বিষয় মাথায় রেখে তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা যাতে ভালোভাবে সামলে দেওয়া সম্ভব হয়, তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক রাজ্য প্রশাসন।