বেলগ্রেড: সামনে ইতিহাস তৈরির হাতছানি। বিশ্বের একমাত্র পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের পাশাপাশি একই মরসুমে অলিম্পিক্সে সোনা জেতার সুযোগ রয়েছে। যাকে টেনিস বিশ্বে গোল্ডেন স্ল্যাম বলা হয়। টোকিও থেকে সোনা জিতে ফিরলে তাই টেনিস দুনিয়ায় ইতিহাস তৈরি করতে পারেন নোভাক জকোভিচ।
সার্বিয়ার টেনিস কিংবদন্তি জানিয়ে দিলেন, তিনি টোকিও অলিম্পিক্সে অংশ নেবেন। এবং অলিম্পিক্স থেকে সোনা জিতে ফেরাই তাঁর প্রথম লক্ষ্য।
রজার ফেডেরার থেকে রাফায়েল নাদাল থেকে সেরিনা উইলিয়ামস, করোনা পরিস্থিতি এবং কঠোর বিধিনিষেধের ফলে আসন্ন অলিম্পিক্স থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন একের পর এক টেনিস তারকা। নোভাক জকোভিচ টোকিওতে অংশগ্রহণ করবেন কি না, তাই নিয়ে সবার কৌতূহল ছিল। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করছেন বলে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন জকোভিচ।
গত সপ্তাহে উইম্বলডন জয়ের পরই জকোভিচ বলেছিলেন, ‘আমি বরাবরই অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক ছিলাম। তবে সত্যি বলতে আমি এখন সংশয়ে রয়েছি। আমার অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ।’
শোনা যায়, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা এবং একাধিক বিধিনিষেধের কারণেই অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ নিয়ে জকোভিচের উৎসাহে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছিল। তার পর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি এবার টোকিওতে দেখা যাবে না বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে!
তবে অলিম্পিক্সে অংশ নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন জোকার। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এক খুদে অনুরাগীর সঙ্গে কথোপকথনের ফাঁকে টোকিওতে অংশ নেওয়ার কথা বলেছিলেন যুগ্মভাবে সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী তারকা। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সেই ভিডিও আবার শেয়ার করে জোকার লিখেছেন, ‘আমার ছোট্ট বন্ধু কোজিরোউকে হতাশ করতে পারি না। টোকিওর বিমানের টিকিট বুক করে নিয়েছি আমি এবং অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে সার্বিয়ার অলিম্পিক দলে যোগ দিচ্ছি।’
এটা হবে জোকারের কেরিয়ারের চতুর্থ অলিম্পিক্স। প্রায় সব খেতাব জিতলেও অলিম্পিক্সের সোনা অধরাই রয়ে গিয়েছে তাঁর। এবার সেই লক্ষ্যপূরণেই কোর্টে নামবেন জকোভিচ।