বেজিং : ক'দিন আগেই চিনের 'করোনা ভ্যাক' ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এবার শিশুদের জন্য এই ভ্যাকসিনকে প্রয়োগের অনুমতি দিল চিন। তবে তিন বছর না হলে দেওয়া যাবে না এই টিকা।


এই খবরের বিষয়ে চিনের গ্লোবাল টাইমসকে নিশ্চিত করেছে 'করোনা ভ্যাক' নির্মাতা কোম্পানি। সিনোভ্যাক-এর চেয়ারম্যান ইং উইডং জানান, ৩-১৭ বছরের মধ্যেই এখন এই টিকা দেওয়া যাবে। এই বিষয়ে চিন সরকারের থেকে অনুমতি পেয়েছে সংস্থা। তবে ঠিক কবে থেকে এই টিকা দেওয়া চালু হবে তা নিয়ে নিশ্চিত করেননি ইং। তিনি জানিয়েছেন, কোন বয়স থেকে এই টিকা দেওয়া হবে তা এখনও সরকারের থেকে জানানো হয়নি।


এই বিষয়ে চিনের সেন্ট্রাল টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সিনোভ্যাকের চেয়ারম্যান। সেখানে তিনি বলেন, ''এই নির্দিষ্ট বয়সের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যাতে ১০০-রও বেশি স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন ওই গ্রুপের জন্য সুরক্ষিত ও কার্যকরী। ঠিক যেমন এই ভ্যাকসিন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কাজে লেগেছিল , শিশুদের ক্ষেত্রেও তা কাজে লাগছে।''


গত ১ জুন চিনের সিনোভ্যাকের করোনা ভ্যাক টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে চিনেরই সিনোফার্ম ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল WHO। এ প্রসঙ্গে হু-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল মারিঅ্যাঞ্জেলা সিমাও বলেন, ''বিশ্বে এই মূহূর্তে একাধিক কোভিড ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। দুনিয়ায় ভ্যাকসিন লাভের বৈষম্য দূর করতেই তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি। আমরা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলিকে কোভ্যাক্স অভিযানে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছে। কোভিড মহামারী মোকাবিলায় তাদের অভিজ্ঞতা জানাতে বলেছি।''


আন্তর্জাতিক স্তরে দুই ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ায় 'ভ্যাকসিন ডিপ্লোম্যাসি' শুরু করেছে চিন। বহু দেশে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে তাদের সখ্যতা লাভের চেষ্টা করছে বেজিং। ইতিমধ্যেই দেশে তৈরি ৫টি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে চিনের সরকার। সংবাদ সংস্থা জিংহুয়ার খবর অনুযায়ী, চিনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ব্যবহারকারী দেশগুলিকে রোগীর ওপর প্রয়োগের তথ্য রাখতে বলেছে WHO। মূলত, প্রবীণ নাগরকিদের ওপর এই ভ্যাকসিনের প্রভাব নজরে রাখতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভ্যাকসিনকে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয় নজরে রাখতে বলেছে 'হু'।