নয়াদিল্লি: চিন কখনও আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী নয়, নিজেদের এলাকা প্রসারিত করা বা প্রভাব বাড়ানোরও ইচ্ছে তাদের নেই। বললেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি বলেছেন, তাঁরা কোনও দেশের সঙ্গে ঠান্ডা বা গরম যুদ্ধে যেতে চান না।


৪ মাসের বেশি সময় ধরে পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনা সেনা। এই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক বৈঠকের আগে রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায়  জিনপিং বলেছেন, চিন আলোচনার মাধ্যমে অন্য দেশের সঙ্গে মতপার্থক্য ও বিতর্ক মেটানোর চেষ্টা করবে।

৪ জুলাই লাদাখে ভারতীয় ছাউনিতে আচমকা সফর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিনের নাম না করে তিনি বলেন, অন্যের জায়গা দখল করে নেওয়ার যুগ চলে গিয়েছে, ইতিহাস সাক্ষী, যারা জায়গা দখলে বিশ্বাসী, তারা হয় হেরেছে নয়ত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। জিনপিং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আবার চিনা সেনার কমান্ডার ইন চিফও। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর দেশ বন্ধ দরজার আড়ালে আলাপ আলোচনা চালাতে আগ্রহী নয়। বরং তাঁরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা করেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলি আরও জোরদার করার। এর ফলে চিনার আর্থিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বৃদ্ধিও দ্রুত ফিরে আসবে মূল স্রোতে।

করোনা আন্তর্জাতিক অতিমারীর চেহারা নেওয়ার পর থেকেই চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইচ্ছে করে এ ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য চেপে রেখে গোটা বিশ্বে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় মদত দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবারই বলেছেন, চিন গোটা বিশ্বে এই অসুখ ছড়িয়ে দিয়েছে, বেজিং ও তাদের পেটোয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মিথ্যে দাবি করেছে, যে এই রোগের মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার কোনও প্রমাণ নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের উচিত, বিশ্বজুড়ে দশলাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ এই ভাইরাস রুখতে না পারার জন্য চিনকে দোষী সাব্যস্ত করা। কিন্তু চিনা প্রেসিডেন্টের দাবি, এখন এ নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে বিজ্ঞান মেনে সবার এক সঙ্গে করোনাকে হারানোর চেষ্টা করা উচিত। এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচিত অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া। এ ব্যাপারে রাজনীতি করার চেষ্টা অবশ্যই রুখে দিতে হবে।