আমেরিকা ওই রিপোর্টে অভিযোগ করেছ, ভাইরাস উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ভুল তথ্য দিয়েছে। উহানের ওই ল্যাবেই রোগ লুকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেছে তারা। অভিযোগ ওই ল্যাবে গোপনে বিভিন্ন কাজ করা হয়। ধারাবাহিকভাবে ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। তারা বলেছে, এই তথ্য বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। উহানের ল্যাবে ২০১৯ সালের শরতেই এই ভাইরাসে উৎপত্তি সম্পর্কে জানা যায়। যদিও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় তারপরে।
রিপোর্টে আরও বলেছে যে ল্যাবগুলিতে দুর্ঘটনাজনিত সংক্রমণের কারণে চিনে আগে বেশ কয়েকটি ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টি সাংবাদিক, তদন্তকারী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, গবেষকদের সাক্ষাৎকার নিতে দিচ্ছে না। যাতে ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে না আসে।
এদিকে দিন কয়েক আগে চিনে গিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। ভাইরাসে উৎপত্তিস্থল চিনে গিয়ে এমনটাই পর্যবেক্ষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের। কোনওদিন করোনা শূন্য হবে না পৃথিবী বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা। আর এই আবহে রিপোর্ট প্রকাশ করল আমেরিকা।
আমেরিকা বলেছে, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির রেকর্ড খতিয়ে উচিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। বাদুর নিয়ে ওরা গবেষণা করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা উচিত। কেন ওই প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট থেকে সব রেকর্ড মুছে দিব তার জবাবও চেয়েছে আমেরিকা। তাদের দাবি, ২০১৭ সাল থেকে চিনের সেনার সঙ্গে যৌথভাবে গোপনে কোনও প্রকল্প করছে। আমেরিকা তদন্তে সাহায্য় করবে বলেও উল্লেখ করেছে তারা