বেজিং: গত বছরের শেষের দিকে চিনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের জন্ম। তারপর হু হু করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে চিনে। গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। ধীরে ধীরে সেই কঠিন লড়াই অতিক্রম করেছে চিন। তার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানালেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মেডিক্যাল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত চারজনকে পুরস্কৃত করেছে চিন সরকার।


করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিনের মানুষ অসীম সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, "আমরা এক অসাধারণ, ঐতিহাসিক পরীক্ষা পেরিয়ে এসেছি।" এই লড়াইকে হিরোদের সংগ্রাম আখ্যাও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।


করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হওয়ার পরেই অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথেও চিন হাঁটছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। করোনা বিধ্বস্ত দেশগুলির অর্থনীতি যখন সঙ্কোচনের মুখোমুখি, বা আর্থিক বৃদ্ধি নিম্নমুখী তখন চিনের অর্থনৈতিক অবস্থা আশাপ্রদ বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। তিনি বলেছেন, ’’আমরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ধাপের লড়াইয়ে খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য পেয়েছি। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বে আমরাই পথ দেখাব।‘‘


মঙ্গলবার বেজিংয়ে চার করোনা যোদ্ধাকে পুরস্কৃত করা হয়। এই চার জনের মধ্যে রয়েছেন ৮৩ বছরের এক বৃদ্ধও। চিনের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি মুখ হয়েছিলেন। জিনপিং সরকার ঝং নানসানকেও পুরস্কৃত করেছে। চিনের জাতীয় পুরস্কার সরূপ তাঁর গলায় একটি মেডেল পরিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট। পুরস্কৃত হয়ে স্বভাবতই খুশি ঝং। তিনি জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন তারা। করোনা উৎসস্থল খুঁজে বার করতে তাঁরা সহায়তা করবেন।


করোনার উৎসস্থল হিসেবে উহানকে মানতে নারাজ চিন। তাদের মতে করোনার উৎপত্তিস্থল এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। সেই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। বাকি তিনজনকে দ্য পিপলস হিরো পুরস্কারপ দেওয়া হয়েছে। এই সভায় ভাষণ শুনে অনেকের চোখ জলে ভরে ওঠে। তবে চিনের হুইসেলব্লোয়াল চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াংয়কে নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি।