ওয়াশিংটন: ভারতের কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ সহ বিশ্বের ডজনখানেক দেশে বিপুল সামরিক পরিকাঠামো গড়তে উদ্যোগী হয়েছে চীন। এর মাধ্যমে প্রয়োজন পড়লে দূরে থাকা কোনও শত্রুকে ঘিরে ধরে আক্রমণ করা সম্ভব হবে, এমনটাই মনে করছে পেন্টাগন। ভারতের একেবারে গা ঘেঁষে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়নমার তো বটেই, তা ছাড়াও তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কেনিয়া, সেশেলস, তানজানিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তাজিকিস্তানের মতো দেশগুলিতেও মিলিটারি লজিস্টিক্সের ঘাঁটি তৈরি করছে চিন। পেন্টাগন তাদের গোয়েন্দাদের মাধ্যমে যে রিপোর্ট তৈরি করেছেস তা পিলে চমকে দেওয়ার মতো। অদূর ভবিষ্যতে কোনও বড় যুদ্ধের কথা মাথায় না রাখলে কেউ এমন ধরনের সমরসজ্জা করে না।
চিন এমনভাবে বিভিন্ন দেশে সামরিক সাজসজ্জা করছে যে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে তারা কোনও না কোনও রকমের হামলা করতে বা হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে। চিন যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলির একটা অংশকে সরাসরি নিজেদের সমর প্রস্তুতির অংশ করে তুলছে, তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। মেরুকরণের স্পষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দাদের খবর অনুযায়ী এই ডজন খানেক দেশে মিলিটারি লজিস্টিক্স বসানোর ব্যাপারটা চলছে। কিন্তু এর আগেই সম্ভবত আরও বেশ কিছু দেশে সামরিক পরিকাঠামো কেউ জানার আগেই চিন তৈরি করে ফেলেছে। নামিবিয়া, ভানাতু, সলোমন আইল্যান্ডের মতো ভালো স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে ইতিমধ্যেই চিন পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। আফ্রিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে মরিয়া চিন।তারা একদিকে এলাকা ঘিরছে, আবার সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে দ্রুত। আফ্রিকার দিজিবউতিতে নিজেদের সেনা ঘাঁটি যে তৈরি হয়ে গিয়েছে সে কথা সরকারি ভাবে নিজেই জানিয়েছে চিন। সেই ঘাঁটি কেন্দ্র করে শাখা প্রশাখা তৈরি হয়ে যাবে আফ্রিকার অন্যান্য দেশে। ব্যাপারটা আমেরিকা তো বটেই, নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে তাকালে ভারতের কপালেও ভাঁজ পড়তে বাধ্য।