নয়াদিল্লি: সমাধান সূত্র খুঁজতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বৈঠক-আলোচনার পর এখনও অব্যাহত ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত। আর সমাধান অধরা থাকার নেপথ্যে রয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রতি চিনের উৎসাহ না দেখানো। সূত্রের খবর, লাদাখে এখনও পিছু হঠতে রাজি হয়নি চিনা সেনা।


সংবাদসংস্থা সূত্রে দাবি, পূর্ব লাদাখে যে সকল জায়গাগুলি নিয়ে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাত চলছে, সেখান থেকে সরতে এখনও রাজি হয়নি পিপলস লিবারেশন আর্মি। সংঘাত প্রশমন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছে না চিনা সেনা। সেটাই সমাধান সূত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক দফার বৈঠক এবং শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের হস্তক্ষেপ সত্বেও উত্তেজনা প্রশমন করতে চুক্তি মানতে রাজি হচ্ছে না চিন। যে কারণে, তারা পূর্ব লাদাখে প্রচুর সেনা মোতায়েন করে রেখেছে এখনও।


কেন্দ্রের এক শীর্ষ সূত্রের মতে, লাদাখ সীমান্তে এখনও প্রায় ৪০ হাজার বাহিনী ঘাঁটি গেড়ে রেখেছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ও ভিতরে মোতায়েন করা হয়েছে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আর্মার্ড ভেহিকল, দূরপাল্লার আর্টিলারি সহ প্রচুর রণসম্ভার।


কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, প্যাঙ্গং সো(লেক)-এর ধারে 'ফিঙ্গার ফাইভ এরিয়া' থেকে পিছু হঠতে চাইছে না চিনা সেনা। হট স্প্রিং এবং গোগরা পোস্টেও বহু কাঠামো তৈরি করে রেখেছে বেজিং। ভারতের তরফে জানানো হয়েছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া হিসেবে ওই অঞ্চল থেকে চিনা সেনাকে সরে নিজেদের স্থায়ী জায়গায় ফিরে যেতে হবে।


প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, 'ফিঙ্গার ফাইভ এরিয়া'য় নজরদারি পোস্ট তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছে চিন। এতেই ভারতের প্রবল আপত্তি। প্রকৃত নিন্ত্রণরেখার বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে চিনা সেনার এরকম অবজার্ভেশন পয়েন্ট গঠন করা নিয়েই গত ৫ মে থেকে চরম সংঘাত রয়েছে দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের।


সীমান্ত সংঘাত মেটানোর উদ্দেশ্যে শেষবার গত ১৫-১৬ তারিখ বৈঠকে বসেছিল দুদেশের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্তারা। কমান্ডার পর্যায়ের ওই বৈঠকে ভারত স্পষ্ট করে চিনকে জানিয়ে দেয়, সমাধান চাইলে সীমান্তে ফৌজের সংখ্যা কমাতেই হবে চিনকে। একমাত্র তবেই সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরবে। পিএলএ তা করতে না চাওয়ায় এখনও অধরা সমাধান।