চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, চিনের পূর্ব দিক, ভারতের সীমান্ত ও চিনের দক্ষিণ তিব্বত প্রসঙ্গে চিনের অবস্থান ধারাবাহিক, স্পষ্ট। আমরা কখনই চিনের ভূখণ্ডে বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠিত অরুণাচল প্রদেশকে স্বীকৃতি দিইনি। নিখোঁজ ভারতীয়দের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আপনারা যে নির্দিষ্ট ঘটনার কথা বললেন, সে ব্যাপারে এখন কিছু আমার জানা নেই।
গত জুনে লাদাখে দুই সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পর গত বেশ কয়েক দশকে এতটা খারাপ চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কখনও হয়নি।
চিন-ভারত সীমান্তে আপার সুবনসিরি এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাইড ও মালবাহক হিসাবে কাজ করা পাঁচ নিখোঁজ ভারতীয়ের ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনী চিনা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল গত শনিবার। তাঁরা জঙ্গলে শিকারে গেলে পিএলএ তাদের তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্য়ান্ট কর্নেল হর্ষবর্ধন পান্ডে সংবাদ সংস্থাকে বলেন, আমরা হটলাইনে পিএলএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করে বলি, কয়েকজন ভুল করে সীমানা পেরিয়ে আপনাদের ভূখন্ডে ঢুকে পড়েছে বলে সন্দেহ। ওদের, যেমনটা সাধারণতঃ আমরা করে থাকি, আমাদের হাতে তুলে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব। জঙ্গল বা পাহাড়ি এলাকায় নির্দিষ্ট সীমানা চিহ্নিত করা থাকে না। লোকে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়। হয়তো সেভাবেই ওরা ওদিকে চলে গিয়েছে। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।
গত ফেব্রুয়ারিতেও চিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অরুণাচল সফরে আপত্তি করে করেছিল, এতে তার ভৌগলিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে, ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাসেও ‘অন্তর্ঘাত করা হয়েছে’। অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে, এমনকী যে কোনও ভারতীয় নেতা, মন্ত্রীর সেখানে সফরেও তীব্র আপত্তি করে চিন। গত বছরের নভেম্বরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ অরুণাচল সফরে গিয়েছিলেন সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তারও তীব্র বিরোধিতা করেছিল চিনা বিদেশমন্ত্রক।