মুম্বই: সুশান্তকাণ্ডে ড্রাগ-চক্রের তদন্তে তত্‍পর এনসিবি। রবিবার রিয়া চক্রবর্তীকে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় আবারও সোমবার তাঁকে ডেকে পাঠান তদন্তকারীরা। পাশাপাশি শনিবার গ্রেফতার হওয়া দীপেশ সওয়ান্তকেও রবিবার জেরা করেন তদন্তকারীরা।


২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সুশান্তের বাড়িতে কাজ করতেন দীপেশ। এনসিবি সূত্রে দাবি, জেরায় দীপেশ জানিয়েছেন, প্রথমদিকে সুশান্ত শুধু সিগারেট খেতেন। তারপর সুশান্ত গাঁজা, চরসের নেশা করতে শুরু করেন। সুশান্তের বাড়িতে পার্টি করতে রিয়া, সৌভিক ও সুশান্তের অন্যান্য বন্ধুরা আসতেন। সেখানে নেশা করা হত। দীপেশ আরও জানান, ২০১৯-এর জানুয়ারি মাস থেকে কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন সুশান্ত। যদিও দীপেশ জানান, তাঁকে দিয়ে কোনওদিন মাদক বা গাঁজা আনাননি সুশান্ত। বরং হৃষিকেশ পওয়ার নামে আরেকজন হাউজ স্টাফ অভিনেতার জন্য গাঁজা এনে দিতেন। এই প্রসঙ্গে আব্বাস খলুই নামে আরেকজনের নামও উল্লেখ করেন, যে সুশান্তের জন্য গাঁজা প্রস্তুত করে দিতেন।
এএনআই সূত্রে খবর, এনসিবির দাবি, এই দীপেশের সঙ্গে ড্রাগ সিন্ডিকেটের যোগ আছে। যোগাযোগ আছে হাই-সোশাইটির অনেকের সঙ্গেই।

রবিবার দীপেশকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

সৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা ও দীপেশ সাওয়ান্তকে জেরা করে যেসব ড্রাগ কারবারিদের নাম উঠে এসেছে তাঁদের খোঁজে এদিন মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালায় এনসিবি।

এনসিবি যখন সুশান্ত মৃত্যুতে ড্রাগ কানেকশনের তদন্ত করছে, তখন রবিবার সক্রিয় ছিল সিবিআই-ও। শনিবারই সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গিয়ে পুননির্মাণ করেন তদন্তকারীদের একটি দল। আর এদিন গোয়েন্দা সংস্থার সেই দলই পৌঁছে যায় কুপার্স হাসপাতালে।

এখানেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। এদিন সিবিআই টিমকে সাহায্য করার জন্য ছিলেন এইমসের চার চিকিত্‍সকের এক দলও। সূত্রের খবর,সুশান্তের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা পাঁচ চিকিত্‍সকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। জানতে চাওয়া হয় সুশান্তের শরীর থেকে কী কী খাবারের নমুনা মিলেছে?

শনিবারের পর রবিবারও সুশান্তের দিদি মিতুকে তলব করা হয় সান্তাক্রুজের ডিআরডিও গেস্ট হাউসের সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে।

পাশাপাশি ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে সুশান্তের মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, এদিন তার চালককেও ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।