বেজিং: অতিমারীর কামড়ে শিল্পোৎপাদন-আর্থিক বৃদ্ধি হুড়মুড়িয়ে নামছে গোটা বিশ্বে। প্রায় কোনও ক্ষেত্রই এর প্রভাব থেকে বাঁচতে পারেনি। একটি সমীক্ষা বলছে, চিনে গত বছরের তুলনায় এ বছর জুলাইয়ে স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।


করোনা দেখা দেওয়ার আগে স্মার্টফোনের যে চাহিদা ছিল সেটা এ়খন আর নেই। চিন থেকে রফতানিও এক লপ্তে অনেকটা কমেছে। চিনের অ্যাকাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাহাজে করে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে ২১.৩ মিলিয়ন মোবাইল। গতবছর এর পরিমাণ ছিল ৩৩ মিলিয়ন।

মে ও জুন মাসের থেকে জুলাইয়ে মোবাইল বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে কয়েক গুণ। মে-তে ১০ শতাংশ, জুনে ১৬ শতাংশ বিক্রি পড়েছিল। তবে আশ্চর্যজনক হল এপ্রিল মাসে কিন্তু স্মার্টফোনের বিক্রি কমেনি। উপরন্তু ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। চলতি বছর এপ্রিলের আগে চিনে করোনাভাইরাসের দাপটে বিক্রি বেশ খানিকটা কমেছিল। এপ্রিলে যে আশার আলো দেখা গিয়েছিল স্মার্টফোন মোবাইল শিল্পে, তা অবশ্য এখন অতটা নেই।

মোবাইল বিক্রেতারা মনে করছেন, পরিস্থিতি এবার কিছুটা হলেও পাল্টাবে। কারণ চিন করোনাকে খানিকটা কাবু করতে পেরেছে। পাইকারি বাজার পুরোদমে খুলে গিয়েছে। ফলে অতিমারীর প্রকোপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে বাজার চাঙ্গা হবে। বিক্রি যদি আশানুরূপ নাও বাড়ে, বিক্রেতারা চাইছেন অন্তত গত বছরের মতো লক্ষ্মী আসুন ঘরে।