নয়াদিল্লি: নেপালি আইনপ্রণেতাদের চিন ১৩ দিনের কোর্স করাচ্ছে। অনলাইন আর অফলাইন এই কোর্স চলছে বেইদু নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমে, ক্লাস নেওয়া হচ্ছে বেজিং থেকে। চিনের বিশেষ আমন্ত্রণে এই কোর্সে যোগ দিয়েছেন নেপালি রাজনীতিকরা।

চিনের বিরুদ্ধে নেপালের জমি দখলের অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। নেপাল-চিন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি পরপর কবজা করছে চিন। অথচ চিনা প্রশাসনকে ক্ষুব্ধ করতে নারাজ কাঠমান্ডু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের সায়েন্স অ্যাকাডেমিতে চলছে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির আইনপ্রণেতাদের জন্য বিশেষ ক্লাস। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে এই ক্লাস, চলবে ২০ তারিখ পর্যন্ত। এই ক্লাসে চিন নেপালিদের শেখাচ্ছে, কীভাবে শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জিপিএস এংব অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন কাজ করে। মার্কিন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএসের একাধিপত্য ভাঙা ও নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম চালানোর লক্ষ্যেই তাদের এই পদক্ষেপ বলে শোনা যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা ও অসামরিক কাজকর্মে চিন ব্যবহার করে বেইদু সিস্টেম। তা এবার নেপালিদেরও শেখাচ্ছে তারা।

জিপিএসের প্রতিদ্বন্দ্বী এই বিডিএস বিশ্বের চতুর্থ স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম। অন্যগুলি হল রাশিয়ার গ্লোনাস এবং ইইউয়ের গ্যালিলিও। ভারতও তৈরি করছে তাদের নিজস্ব রিজিওনাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম যার অপারেশনাল নাম নাবিক।

এই বিডিএম কার্যকর হলে চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র নাশক ব্যবস্থার জিপিএস ও গ্লোনাসের ওপর নির্ভরতা কমে যাবে, বিদেশে অপারেশন চালাতে অনেক বেশি স্বয়ম্ভর হবে পিপলস লিবারেশন আর্মি। এই মুহূর্তে বেইদু কাজ করে পাকিস্তান, মিশর ও ইন্দোনেশিয়ার মত ৩০-এর কাছাকাছি দেশে।

২০১৩ সালে চিন শুরু করে তাদের অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্খী নির্মাণ প্রকল্প বিআরআই। এর ফলে বিশ্বজুড়ে চিনা বিনিয়োগ পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে বলে ধারণা। বিআরআই-এর জেরে বেশ কিছু ছোট দেশের এখন চিনা ঋণে হাঁসফাঁস অবস্থা। শ্রীলঙ্কাকে তাদের কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হাম্বানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের লিজে চিনের হাতে তুলে দিতে হয়েছে।