নয়াদিল্লি: ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল চিনে। মঙ্গলবার পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান, তাতে মৃতের সংখ্যা ৩১ পৌঁছে গিয়েছে। পাহাড়ে ঘেরা ইয়ুনান প্রদেশের ওই ধসে এখনও অনেকে নিখোঁজ বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর।


কী ঘটল?
চিনের জাতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সোমবার সকালে ইয়ুনান প্রদেশের ঝেনশিয়ং কাউন্টির একটি গ্রামে হঠাৎ ধস নামে। তাতে ৪৭ জন আটকে পড়েন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল। একেই পাহাড়ি এলাকা, তার উপর ঘন বরফের স্তরে ঢেকে গিয়েছে সব কিছু। উদ্ধার কাজ ধাক্কা খাচ্ছে প্রতি পদে। যদিও হাল ছাড়ার পাত্র নয় স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যেই ১ হাজার জন উদ্ধারকর্মী সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ৪৫টি 'রেসকিউ ডগ', ১২০টি গাড়ি রয়েছে। এছাড়া 'excavators', 'loader'-ও নিয়ে যাওয়া হয় ওই এলাকায়। দমকলের ৩৩টি গাড়িও সাহায্য়ের জন্য প্রস্তুত। পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে তৈরি রেখেছে সরকার। চিনের বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থার যে তিনটি মাত্রা রয়েছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার আপৎকালীন মোকাবিলা ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হয়েছে এর মধ্যেই। উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ তদারক করতে বিশেষজ্ঞ দলও পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার এজন্য বরাদ্দ করেছে বেজিং। কিন্তু সমস্ত তৎপরতা সত্ত্বেও যে ভাবে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখেছে প্রশাসন। এখনও অনেকে নিখোঁজ। সে দিক থেকে দেখলে চিন্তার কারণ থাকছে বইকী। 


ধস নিয়ে...
প্রাথমিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, পাহাড়ের একটি উঁচু, খাড়াই অংশ ভেঙে পড়ায় এই বিপত্তি দেখা দেয়। যে অংশটি ভেঙে পড়েছিল, সেটি লম্বায় ৬০ মিটার ও চওড়ায় ১০০ মিটার বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ৬ মিটার পুরু ছিল ওই অংশটি। ধসে নিখোঁজ পাশাপাশি গ্রামের অনেকে ক্ষতিগ্রস্তও হন। তাঁদের ত্রাণেও সাহায্য করছে স্থানীয় প্রশাসন। ২০০টি তাঁবু, ৪০০টি কম্বল, আপৎকালীন বাতির ১৪টি সেট দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের। ২১৩ জন বাসিন্দাকে তুলনামূলক নিরাপদ জায়গায় সরানোও হয় বলে খবর। আপাতত, ধসের আগে ও ধসের পরে এলাকাটির ছবি তুলনা করে দেখছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। মোট কতগুলি বাড়ি ধসে চাপা পড়ে থাকতে পারে,  সেখান থেকে  আন্দাজের চেষ্টা রয়েছে তাঁদের।  মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেতেই ছুটে আসেন আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেন।


আরও পড়ুন:নিয়ন্ত্রণ রেখায় দাঁড় করিয়ে চিনা জওয়ানদের দিয়ে 'জয় শ্রীরাম' বলাল ভারতীয় সেনা !