নয়াদিল্লি: ডাবর, পতঞ্জলি, ঝান্ডুর মত নামী সংস্থার মধুতে ভেজাল!
ভেজাল চিহ্নিত করার পরীক্ষায় সব কটি সংস্থা ফেল করেছে। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের গবেষকরা এ কথা জানিয়েছেন।
সিএসই-র ডিরেক্টর জেনারেল সুনীতা নারায়ণ জানিয়েছেন, করোনা অতিমারী চলাকালীন উত্তর ভারতের মৌমাছি পালকরা অভিযোগ করেন, মধু বিক্রি বাড়লেও তাঁদের লাভ কমে গিয়েছে। ১৩টি ছোটবড় সংস্থার মধুর ওপর গবেষণা চালান তাঁরা। তদন্তে দেখেন, ভারতীয় বাজারের সিংহভাগ দখল করে রাখা মধু সংস্থাগুলি তাদের মধুতে মেশাচ্ছে চিনির রস। তাঁর কথায়, ২০০৩ ও ২০০৬ সালে সফট ড্রিঙ্কে ভেজালের ব্যাপারে তদন্ত করে তাঁরা যা দেখেন, মধুর এই ভেজাল তার থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও পরিশীলিত। এখনও পর্যন্ত খাবারে যতরকম ভেজাল পাওয়া গিয়েছে, মধুতে এই ভেজাল সব থেকে বিপজ্জনক, এতে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে করোনার এই সময়ে মানুষ শরীর সুস্থ রাখার জন্য ভরসা করে মধু খাচ্ছেন, তাঁরা জানেনও না, মধুতে ভেজাল রয়েছে। এর ফলে স্থূলতা দেখা দিতে পারে, এমনকী প্রাণসঙ্কট হওয়া সংক্রমণ হওয়াও বিচিত্র নয়।
ডাবর, পতঞ্জলি ও ঝান্ডু কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, তাদের মধুতে ভেজাল নেই, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নিয়মকানুন মেনেই তা তৈরি হয়। সিএসই বলেছে, চলতি পরীক্ষাগুলির পাশ কাটিয়ে মধুতে ভেজাল মেশাচ্ছে সংস্থাগুলি। আগে মধুর মিষ্টত্ব বাড়াতে তাতে ভুট্টা, আখ, চাল ও বিটের চিনি মেশানো হত। সিথ্রি ও সিফোর পরীক্ষায় তা ধরা পড়ে যেত। এখন মেশানো হচ্ছে চাইনিজ সুগার, শুধু নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্সেই তা ধরা পড়তে পারে। মাত্র কদিন আগে এই এনএমআর পরীক্ষা দেশে অত্যাবশ্যক করা হয়েছে।
একমাত্র সাফোলা, মার্কফেড সোহনা ও নেচার্স নেকটার শুদ্ধতার সবকটি পরীক্ষায় পাশ করেছে।
ডাবর, পতঞ্জলি ফেল, নামীদামী সব মধুর মধ্যে মিলল চিনা চিনি
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
04 Dec 2020 03:19 PM (IST)
একমাত্র সাফোলা, মার্কফেড সোহনা ও নেচার্স নেকটার শুদ্ধতার সবকটি পরীক্ষায় পাশ করেছে।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -