ঢাকা: জেলে রয়েছেন গত ১৩ দিন ধরে। বাংলাদেশে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে আরও মামলার আবেদন। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে আরও মামলার আবেদন জমা পড়ল। আদালত চত্বরে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ।অভিযোগ আদালত চত্বরে থাকা গাড়ি ভাঙচুরেরও। (Chinmoy Krishna Das)


চট্টগ্রাম আদালতে যিনি চিন্ময় এবং বাকিদের বিরুদ্ধে আরও মামলার আবেদন জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ছিলেন। সেখানে তাঁকে মারধর করেন চিন্ময়ের অনুগামীরা। সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এনামুল হক নামের ওই ব্যবসায়ীর। তিনি জানিয়েছেন, মারধরের ফলে তিনি আহত হন। এতদিন অসুস্থতার জেরে অভিযোগ করতে পারেননি। এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগও করেছেন এনামুল। (Bangladesh News)


চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলা করা হয়েছে। মামলার আবেদন গৃহীতও হয়েছে সেখানে। এমনিতে ২ জানুয়ারির আগে মুক্তির কোনও সম্ভব নেই চিন্ময়ের। তার আগে আরও নতুন নতুন মামলা যোগ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে, ৩ ডিসেম্বর চিন্ময়কে চট্টগ্রাম আদালেত তোলা হলে, তাঁর জামিনের শুনানিতে কোনও আইনজীবী উপস্থিত হতে পারেননি। চিন্ময়ের এক আইনজীবীকে মারধর করা হয়। অন্যজনের বাড়িতে চালানো হয় ভাঙচুর। 


আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিনের পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কিন্তু যেভাবে নতুন নতুন মামলা যুক্ত হচ্ছে, তাতে ওই দিন তিনি জামিন নাও পেতে পারেন। নয়া মামলায় মারধর, সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে চিন্ময়ের জামিন পেতে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। আগামী দিনে আরও মামলা দায়ের করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা। 



চিন্ময়কে নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কলকাতায় ISKCON-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ISKCON-কে উপড়ে ফেলার ডাক দেওয়া হচ্ছে। ISKCON-কে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করছে মৌলবাদীরা। প্রকাশ্যে সংখ্যালঘু হিন্দু নিধনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, গোটা দেশে ISKCON ও তাদের অনুগামীদের গণহত্যার ডাক দেওয়া হচ্ছে. বাংলাদেশ সরকার এমন পরিস্থিতিত নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অভিযোগ করেছেন রাধারমণ।