নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ছাড়পত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। আগামীকাল বা সোমবার এই বিল নিয়ে সংসদে আলোচনার সম্ভাবনা।
এই বিষয়ে আলোচনা করতে আগেই উত্তর পূর্বের কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বিল নিয়ে নানা সংশয় দূর করার জন্যই এই বৈঠক হয়।
অসমের মন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, এই বিল নিয়ে আর কোনও বিভ্রান্তি নেই। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সহ কয়েকটি দেশ থেকে আসা হিন্দু, পার্সি, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বিলের মাধ্যমে। এই বিলে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের উল্লেখ নেই।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে লোকসভায় বিজেপি এগোনোর ইঙ্গিত দিলেও, রাজ্যসভায় এখনও সংখ্যালঘু গেরুয়া শিবির। রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে মোট সদস্য ২৩৯। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১২০ জনের সমর্থন। কিন্তু বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৮১। অর্থাৎ, সংসদের উচ্চকক্ষে বিল পাস করাতে হলে আরও ৩৯ জনের সমর্থন প্রয়োজন বিজেপির। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ ৪৬, তৃণমূলের ১৩, সমাজবাদী পার্টির ৯, ডিএমকের ৫ ও ৪ জন করে সাংসদ রয়েছে আরজেডি, বিএসপি ও এনসিপির। এডিএমকের ১১ ও জেডিইউর ৬ জন সাংসদ রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সংসদে বিজেপি সাংসদদের অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। রাজনাথ সিংহ সোজাসুজিই তাঁদের জানান, প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের উপস্থিতির হার নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তারা যেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আলেচনার সময় সকলে হাজির থাকেন, সেই নির্দেশ দেন রাজনাথ।
এই বিলে মুসলিম ধর্মাবলম্বী শরণার্থীদের বাদ রাখা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। যদিও সেইসব তোয়াক্কা না করেই রাজনাথ সিংহের দাবি, বিজেপি সবসময়ই দেশের সব মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশই মুসলিম দেশ। তাই সেখানে অ-মুসলিমরাই ধর্মীয় আক্রোশের স্বীকার হয়েছেন।