নয়াদিল্লি: ক্রমেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। জ্বলছে আগুন, পুড়ছে ট্রেন, চলছে ভাঙচুর। অশান্তির আঁচ পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও। জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় সহ একাধিক শিক্ষ প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ দমিয়ে রাখতে বন্দুক উঁচিয়েছে পুলিশ, ব্যবহার হয়েছে কাঁদানে গ্যাস। সেই নিয়ে ফুঁসে উঠেছে সরকার-বিরোধীরা। এরই মধ্যে বারবার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আবেদন জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু তারপরেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে ক্রমাগত। এরই মধ্যে দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম বললেন, ‘ভারতের মুসলিমদের সঙ্গে নাগরিকত্ব আইনের কোনও সম্পর্ক নেই’। বিক্ষোভের অপর কারণ এনআরসি প্রসঙ্গেও ইমামের মতামত, নাগরিকপঞ্জী নিয়ে আইন এখনও পাশ হয়নি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করবে। কিন্তু এই আইনে বাদ রাখা হয়েছে অন্য দেশ থেকে এদেশে আসা মুসলিমদের। সেই নিয়েই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।
‘প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রত্যেক ভারতীয়রই আছে। তা থেকে বিরত করার অধিকার কারও নেই। কিন্তু আবেগে রাশ টেনে আন্দোলন হওয়া উচিত’ , বললেন শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি।
তিনি বলেন, এই আইন ভারতীয় মুসলিমদের কোনও অসুবিধেয় ফেলবে না। কিন্তু যারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন, তাঁদের জন্যই এই আইন চিন্তার কারণ, বিশ্লেষণ ইমামের।
তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির মধ্যে পার্থক্য আছে। সিএএ এখন আইনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এনআরসির ঘোষণা হয়েছে মাত্র। আইন হয়নি।’
সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ক্যাম্পাস ও তার সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার  তা ছড়ায় দিল্লির অন্যান্য অঞ্চলেও।  এমত পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ  থেকে যাতে হিংসা ছড়িয়ে না-পড়ে, তার জন্য আবেদন জানান জামা মসজিদের শাহি ইমাম।