নয়াদিল্লি: স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পুরসভার লোকজনের সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেঙ্গালুরুর পাদারায়ানাপুরা এলাকা। পুরকর্মীরা সন্দেহভাজন কোভিড১৯ সংক্রমিত লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর জন্য নিয়ে আসতে ওখানে গেলে বাসিন্দারা প্রবল বাধা দেন বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে সংবাদ সংস্থা এএনআই ঘটনাস্থলের যে ভিডিও প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এলাকা ঘিরে ফেলে বৃহূত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকের কর্মকর্তাদের বসানো লোহার গার্ডরেল উপড়ে সরিয়ে দিচ্ছে লোকজন। তাঁদের বিরুদ্ধে চলছে স্লোগানও। টেবিল, চেয়ারও ছুঁড়ছে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তাদের ফাঁড়িও সরিয়ে দিয়েছে লোকজন।
পাদারায়ানপুরাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পালিকে সেখানকার একজন কোভিড ১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসা ১৫ জনকে চিহ্নিত করেছে। সম্ভবত তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর জন্য নিয়ে আসতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন পালিকের কর্মকর্তারা।
গন্ডগোলের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বেঙ্গালুরু দক্ষিণের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার। বেঙ্গালুরু সিটির পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও ট্যুইট করেন, লকডাউন চলছে। দয়া করে ঘরে থাকুন। নয়তো আগামীকালটাও আজকের মতোই হবে। আপনাদের অবস্থা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি, আপনাদের সহযোগিতার প্রশংসা করছি।

গতকাল রাতের হিংসার ঘটনার ব্যাপারে আজ সকালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। সেখানে পুলিশকর্তারাও ছিলেন। বোম্মাই পরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছি। কঠোর হতে বলেছেন তিনি আমাদের। আমার অফিসারদেরও সেকথা জানিয়েছি। এমন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। ৫৯ জনকে গ্রেফতার করে ৫টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমিও পাদারানাপুরায় যাচ্ছি। ওই লোকগুলোকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো সুনিশ্চিত করব।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে কর্নাটকে কোভিড ১৯ পজিটিভ লোকের সংখ্যা ৩৮৪, মারা গিয়েছেন ১৪ জন।