পটনা: বিহারের কুর্সিতে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ ফিরছে নাকি মহাজোট ক্ষমতা দখল করবে তা জানা যাবে আজই। কিন্তু বিহার ভোটের একটি পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এগারোশোর বেশি প্রার্থী যাঁদের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। পুলিশের খাতায় তাঁদের মধ্যে অনেকেরই নাম আছে, তাও রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের প্রার্থী করেছে।


ভারতের এই ধারা অবশ্য বহুদিনের। এবার তিন দফায় ভোট হয়েছে বিহার। নীতীশের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৩৭৩৩জন। তার মধ্যে এগারোশোর বেশি প্রার্থীর অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। অথচ অপরাধের সঙ্গে জ়ড়িতদের ভোটে দাঁড় করানো নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলির কাছে জানতে চেয়েছিল কেন এ ধরনের প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। মার্চে নির্বাচন কমিশনও একই প্রশ্ন তুলেছিল। অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা কী করে মানুষকে স্বচ্ছ প্রশাসন দেবে তা নিয়েও বহু চর্চা হয়েছে। অপরাধী-প্রার্থীদের নিয়ে আলাদা করে নির্দেশিকা জারি করেছিল কমিশন। ২০১৮-র অক্টোবরে কমিশন বলেছিল অপরাধের রেকর্ড আছে এমন কাউকে প্রার্থী করলে গোটা নির্বাচন পর্বে অন্তত তিনবার তাঁর অপরাধের তালিকা টিভি ও খবরের কাগজে প্রকাশ করতে হবে।


নির্বাচন কমিশন এটাও বলেছিল, প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ তারিখের প্রথম চারদিনের মধ্যে প্রার্থীর ফৌজদারি রেকর্ড প্রকাশ্যে আনতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বা কমিশনের এত চেষ্টার পরেও অপরাধের রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁদের প্রার্থী করায় যে লাগাম পরানো যায়নি তাঁরই স্পষ্ট প্রমাণ এবারের বিহার ভোট।