শ্রীনগর: কিশতোয়ারের পর এবার কাঠুয়া। ভূস্বর্গে ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মেঘভাঙা বৃষ্টি থেকে প্রবল হড়পা বান। জলের তোড়ে দোকানপাট, বাড়িঘর সব ভেসে গেল। এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন একজন। তবে বেশ কয়েক জন নিখোঁজ বলে খবর। উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে সেখানে। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। (Jammu And Kashmir)
কিশতোয়ারে বিপর্যয়ের রেশ এখনও কাটেনি। তার আগেই রবিবার কাঠুয়ায় মেঘভাঙা বৃষ্টি নেমে এল। প্রবল হড়পা বানে ভেসে গেল পর পর বাড়ি, দোকান। দুপুর ১টা পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, এদিনের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জোধ ঘাটিতে পাঁচ জন মারা গিয়েছেন, দু'জন মারা গিয়েছেন জাংলোটে। গভীর রাতে আচমকা জলরাশি নেমে আসায় বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে বলে খবর। (Cloudburst in Jammu And Kashmir)
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ উধমপুরের সাংসদ। তিনি জানিয়েছেন, রেললাইনের ক্ষতি হয়েছে। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, একটি থানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধসে। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন, সেনা, আধা সেনা উদ্ধারকার্যে নেমেছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনাও জানান তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকার্যে জোর দেওয়া হচ্ছে এই মুহূর্তে। ত্রাণ পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মানুষের নিরাপত্তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এই মুহূর্তে। কাঠুয়ার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্যোগের প্রকোপ কাটেনি এখনও পর্যন্ত। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নদী, ঝরনা, জলাধার থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। নদীর জলস্তর একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে যেহেতু, তাই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
কাঠুয়া প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর ০১৯২২-২৩৮৭৯৬, ৯৮৫৮০৩৪১০০ প্রকাশ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে উপত্য়কার সব নদীর জলস্তরই বিপদসীমার উপরে। উঝ নদীও ফুঁসছে। পর পর এমন বিপর্যয়ে ছড়িয়েছে উদ্বেগও। কারণ চলতি সপ্তাহেই কিশতোয়ারে একই বিপর্যয় নেমে আসে। সেবার ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যাব। আহত হন শতাধিক মানুষ। এখনও ৮০-র বেশি মানুষ নিখোঁজ বলে খবর।