কলকাতা : ট্যুইটারকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অভিযোগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটকে ভয় দেখানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর সরকারের সঙ্গেও কেন্দ্র একই ব্যবহার করেছে বলে দাবি মমতার।  


তিনি বলেন, এটাকে আমি ঘৃণা করি। ওরা ট্যুইটারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই ওদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। ওরা যাদেরই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না, তাদের সঙ্গেই এরকম করার চেষ্টা করে। ওরা আমাকে ঠেকাতে পারে না। তাই আমার সরকারকেও ভয় দেখানোর চেষ্টা করে।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে ট্যুইটার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ধারাবাহিক সংঘাত দেখা গিয়েছে। এই নির্দেশিকা মেনে চলার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ততা ও বিলম্বের জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের তৃতীয় পক্ষের মর্যাদা বাতিল করেছে। সেইসঙ্গে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ট্যুইটার যে আইনি রক্ষাকবচ পেত, তাও খারিজ হয়ে গিয়েছে।


এই ছাড় খারিজের পাশাপাশি ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে দিল্লি পুলিশ ট্যুইটার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছে। গতকাল এই ইস্যুতে ট্যুইটারকে নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি ট্যুইট করে লিখেছিলেন, ভারতীয় সংস্থা আমেরিকা কিংবা অন্যান্য দেশে ব্যবসা করতে গেলে, স্থানীয় আইন মেনে চলে। তাহলে ভারতের আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে ট্যুইটারের মতো মাধ্যমের এত গা-ছাড়া ভাব কেন?


এর আগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শশী তারুরের সঙ্গে এর সদস্য বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। কংগ্রেস ও দলের প্রাক্তন সভাপতি  রাহুল গাঁধীর অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যেতে তারুর স্ট্যান্ডিং কমিটিকে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন নিশিকান্ত দুবে। 


এরই মধ্যে আজ ট্যুইটারের আধিকারিকদের বৈঠকে ডেকে পাঠায় সংসদীয় কমিটি। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ও গোপনীয়তা সংক্রান্ত উদ্বেগ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করার কথা।