কলকাতা: মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া হচ্ছে না দিল্লিতে। রাজ্যের এক্সটেনশন প্রস্তাবে সাড়া দিয়েও কেন একতরফাভাবে দিল্লিতে তলব? ২৮ তারিখ কলাইকুণ্ডার বৈঠকের সঙ্গে সম্পর্ক আছে? বদলি নির্দেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি-ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ পাতার চিঠিতে কেন্দ্রের বদলি সংক্রান্ত নির্দেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি লিখেছেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি সংক্রান্ত নির্দেশ জারির আগে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। এই একতরফা নির্দেশ আইনসিদ্ধ নয়, একইসঙ্গে তা অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকও বটে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যসচিব হিসেবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রয়োজন। তাই তাঁকে আরও ৩ মাস রাখতে মুখ্যসচিব হিসেবে পেতে চায় রাজ্য। তাই জনস্বার্থে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হোক। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী।


একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েও মুখ্যসচিবকে বদলি, ২৮ মে, কলাইকুণ্ডার বৈঠকের সঙ্গে কী এর কোনও যোগ রয়েছে। 


উল্লেখ্য, বাংলার মুখ্যসচিবকে রাজ্যে সরকারের অনুরোধে  তিন মাসের এক্সটেনশন দিয়েছিল কেন্দ্র। এরপর গত ২৮ মে তাঁকে দিল্লিতে বদলি করা হয়েছে।  ৩১ মে, অর্থাৎ আজ সকাল ১০টার মধ্যে তাঁকে নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল। 


প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,  রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যসচিবকে এক্সটেনশন দেওয়া হয়েছিল।  কোভিডের পর হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এই মুহূর্তে মুখ্যসচিবকে দিল্লি ডাকলে জনসেবার কাজে ক্ষতি হবে।’


একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন,‘মুখ্যসচিবের সঙ্গে এমন হলে, নীচের আমলাদের কী হবে?’ তিনি বলেছেন,আমলাদের মধ্যে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে।


এদিকে, বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ নবান্নে পৌঁছেছেন মুখ্যসচিব।


প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি নিয়মমাফিক প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক চেয়েছিলাম। বৈঠকের কাঠামো বদলে আপনার দলের স্থানীয় বিধায়ককে ডাকলেন। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে তাঁর থাকার এক্তিয়ার নেই। মাননীয় রাজ্যপাল ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আপনি ডেকেছিলেন। আপনিও জানেন, মাননীয় রাজ্যপালের ওই বৈঠকে কোনও ভূমিকা নেই।’