কলকাতা: পুরোপুরি অক্ষত এটিএম। বিশেষ যন্ত্র বসিয়ে অভিনব উপায়ে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করার অভিযোগ। কীভাবে ঘটছে এমন ঘটনা? খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, সিস্টেম আপগ্রেড করে এই ধরনের জালিয়াতি ঠেকানোয় জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শহরে ফের অভিনব কায়দায় এটিএম জালিয়াতি। অভিযোগ, ১৪ থেকে ২২ মে-র মধ্যে নিউ মার্কেট, যাদবপুর ও কাশীপুর থানা এলাকার এটিএম থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ৩৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। যদিও কোনও এটিএমের গায়ে আঁচড় পর্যন্ত লাগেনি। সাইবার বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ঘটনার পিছনে হ্যাকারদের বিশেষ কারসাজি।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, সবার অলক্ষ্যে জালিয়াতরা বিশেষ যন্ত্র লাগিয়ে দিচ্ছে এটিএমে। তারপর বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে ব্যাঙ্কের সঙ্গে এটিএমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এটিএমের নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নিচ্ছে। তারপরই গায়েব করছে টাকা।
দেখা গেছে, এক ধরনের এটিএমের ক্ষেত্রেই টাকা গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ২০১৫-তে আরবিআই থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল, এটিএম সুরক্ষায় যেন বাড়তি নজর দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ও ভেন্ডারদের বলা হয়েছিল, এটিএমের সিস্টেমে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য।
সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক। এটিএম বক্স এবং ব্যাঙ্কের মধ্যে হ্যাকার ঢুকছে। ম্যালওয়ার লাগিয়ে নির্দেশ দেবে সেভাবেই এটিএম কাজ করবে। সাইবার বিশেষজ্ঞ অভিষেক মিত্রর কথায়, কৃত্রিম সার্ভার তৈরি করে এই কাজ হচ্ছে। আরেক সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, কোভিড পর্বে সাইবার হানা বাড়বে তা আগেই বলা হয়েছিল। এই নিয়ে গাইডলাইনও জারি করেছিল আরবিআই।
এই ধরনের জালিয়াতি ঠেকানো যাবে কীভাবে? শহরের অধিকাংশ এটিএম রক্ষীবিহীন। ফলে জালিয়াতরা ফাঁকা এটিএমে জালিয়াতির সুযোগ পাচ্ছে। এর আগে গ্রাহকদের ফোন করে এটিএম নম্বর কোনওভাবে জেনে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। তারপর এটিএম কার্ড স্কিম করে বিশেষ পদ্ধতিতে উধাও হয়েছে টাকা। এবার নতুন পদ্ধতি নিয়ে শহরে সক্রিয় এটিএম জালিয়াতরা।