কলকাতা : প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে হাতে তুলে নিয়েছিলেন রং-তুলি। গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নামঞ্চে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁকেছিলেন মোট ১২টি ছবি। লিখেছিলেন ২টি কবিতাও। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে যে তথ্য জানিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।


বাংলা নববর্ষের দিনে এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে'কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার মুখোমুখি-তে বিভিন্ন ইস্যুতে খোলামেলা উত্তর দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাক্ষাৎকারের একেবারের শেষপর্বে তাঁর আঁকা, লেখা, ডিজাইন করার মতো বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাড়িতে বিশেষ 'অ' বর্ণ প্রসঙ্গে নববর্ষের জন্য তাঁর এই বিশেষ শাড়ি কি না জানতে চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নিজের শাড়ির যাবতীয় ডিজাইন এখন নিজেই তৈরি করি। বিভিন্ন বর্ণ সম্বলিত শাড়ি ডিজাইন করেছি। ডিজাইনটা আমি করে দিই আর নদিয়া, হুগলি, ধনেখালির তাঁতিভাইরা আমাকে শাড়ি বানিয়ে দেয়। নিজের শাড়ির ডিজাইন করার পাশাপাশি অনেকের জন্য ডিজাইন করেও দিই।'


তারপরই গত মঙ্গলবারের ধর্নামঞ্চে বসে ছবি আঁকার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়েন, 'কিছু না কিছু করতে সবসময় করতে ইচ্ছে করে। ২৪ ঘণ্টা যখন ব্যান করল, ধর্নামঞ্চে বসে ২ ঘণ্টায় ১২ টা ছবি এঁকে ফেলেছিলাম।' যার পর 'কবিতাবিতান' বই দেখিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'এখানে সাড়ে নশোর মতো কবিতা আছে। নিজের মনের সব ভাবনা লিখে রাখার চেষ্টা করি। যখন যেমনটা মনে হয় রাস্তায় হাঁটা-চলা, কথা বলার মাঝে, তেমন লিখি। ধর্নামঞ্চে সেদিন দুটো কবিতাও লিখেছিলাম, কিন্তু সেটা কাউকে দেখাইনি।'


(দেখুন পুরো সাক্ষাৎকার-)


 


কবিতা লেখার পাশাপাশি গান লেখার বিষয়টিও উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পর তিনি বলেন, 'ডিজাইন করা, কবিতা লেখা, আঁকা, গান লেখা এগুলো করতে খুব ভালো লাগে। পারলে সকালে একটু গলাও সাধি, এখন তো এমনিই মিটিং করতে করতে গলা বসে যাচ্ছে। মা ও মাতৃভূমির প্রতি সবসময় একটু বাড়তি টান অনুভব করি। আর সবকিছু আসলে মানসিকভাবে স্বস্তি দেয়। তরতাজা করে তোলে।'