কলকাতা : করোনা ঠেকাতে তৎপর হয়নি কেন্দ্র। ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিই। বিনামূল্যে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছিলাম। মুখোমুখি অনুষ্ঠানে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ৮ দফায় ভোট করে বাংলাকে অপমান করা হয়েছে। বিজেপির পরিকল্পনায় ৮ দফায় ভোট হচ্ছে। বলেও তোপ দাগেন তিনি।


বাংলা নববর্ষের দিনে এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে'কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার মুখোমুখি-তে বিভিন্ন ইস্যুতে খোলামেলা উত্তর দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।


রাজ্যের কোভিড বাড়ার প্রসঙ্গে বাংলায় প্রচুর সংখ্যায় বহিরাগত আসার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি যেখানে বিজেপির হয়ে প্রচারে আগত অনেকের উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ভারতের বেশ কিছু জায়গায় কোভিড প্রচণ্ডভাবে বাড়ছে। এই অবস্থায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচুর লোক রাজ্যে এসেছে। নানা কাজ নিয়ে আসছে তারা। প্রচার হোক, বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে যাতে বিজেপির হয়ে টাকা বিলোতে পারে, সেই জন্যও। আর সেইসব বহিরাগতদের জন্য আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে ভবিষ্যতে।'


শেষ তিন দফার ভোট নির্বাচন কমিশন যদি একসঙ্গে করতে চায়, তাহলে সেক্ষেত্রে তাঁর ও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও আপত্তি নেই বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, 'শুরু থেকেই বলেছিলাম, বাংলায় ৮ দফার ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই। এটা আসলে বাংলার মানুষকে অসম্মান করা। বিজেপির পরিকল্পনা অনুযায়ীই বঙ্গে ৮ দফার নির্বাচন হচ্ছে।'


যার পরই করোনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যে কোনও অতিমারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দু'বছর সময় লাগে। গত বছর করোনার প্রার্দুভাব হওয়ায় এই বছর দরকার ছিল বাড়তি সতর্কতা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তেমন কিছুই করেনি। মাঝে যে সময় রাজ্যে করোনার প্রকোপ কম ছিল, সেই সময় সবাাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হলে হয়তো আরও ভালোভাবে পরিস্থিতি সামলানো যেত। পিএম কেয়ার্সের মাধ্যমে লক্ষ-কোটি টাকা তুললেও সাধারণ মানুষ ওষুধ পেলেন না। গত ফেব্রুয়ারিতে চিঠি লিখেছিলাম ভ্যাকসিন পাঠানোর ছাড়পত্র দিতে, পরিকল্পনা ছিল বিনামূল্যে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোনও উত্তর দেননি। মিটিং ডাকেন, ভাষণ দেন, কিন্তু করোনা সামলাতে কোনও পদক্ষেপ নেননি।'


 


দেখুন পুরো সাক্ষাৎকার-