রুমা পাল,  কলকাতা:  শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার কোনও পরিকল্পনা নেই নির্বাচন কমিশনের। এ ব্যাপারে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।করোনা জনিত পরিস্থিতিতে  রাজ্যে শেষ তিন দফার ভোট কমিশন এক দফাতেই সেরে ফেলতে পারে জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই জল্পনায় ইতি টানল কমিশন।


সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতিও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভোটের প্রচারে জনস্বাস্থ্য বিধি না মানা নিয়ে হাইকোর্টেও পিটিশন দায়ের হয়েছে। ভোটের প্রচারে কোভিড বিধি মেনে চলার ব্যাপারে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এরইমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক।  এদিন ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।


এরইমধ্য এদিন নতুন নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকও ছিলেন বলে জানা গেছে।


এই বৈঠকে শেষ তিন দফার ভোট এক দফাতে করার জল্পনা আরও উস্কে দেয়। কিন্তু এ ব্যাপারে  যে জল্পনা চলছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে কমিশন।


কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে যে, তিন দফার ভোট একসঙ্গে করতে গেলে দেড় হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি এর বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে রাজ্যে। পঞ্চম দফার ভোটের জন্য ৮৫৩ কোম্পানি বাহিনী, ষষ্ঠ দফার জন্য ৯৫৪ কোম্পানি, সপ্তম দফার জন্য ৭৯১ ও শেষ তথা অষ্টম দফার জন্য ৭৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে।  তাই তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার জন্য পর্যাপ্ত বাহিনী নেই।  তাই তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার কোনও পরিকল্পনা কমিশনের নেই বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেও একই কথা জানিয়েছেন।


উল্লেখ্য, আগামীকাল করোনা আবহে ভোট পরিচালনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও) ।


আগামী শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। এরপরও বাকি থাকছে তিন দফার ভোট।


উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ঢেউ সারা দেশে সহ এ রাজ্যেও চোখ রাঙাচ্ছে। এদিনই করোনা কেড়ে নিয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের।


রাজ্যে অন্য এক বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে এসেছিলেন অনিল কুমার শর্মা।  তাঁকেও ফিরে যেতে হয় করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর। সিইও দফতরে ২৯ জন করোনা আক্রান্ত বলে জানা গেছে।


এরইমধ্যে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী ও গোয়ালপোখরের তৃণমূল প্রার্থী গোলাম রব্বানি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।


কংগ্রেস অভিযোগ করেছে,করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদাসীন কমিশন। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইট করে বলেছেন, তাঁরা শুরুতেই আট দফায় নির্বাচনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন।