নয়া দিল্লি: হরিয়ানার গুরুগ্রামে উন্মুক্ত স্থানে নমাজ পড়া নিয়ে কয়েক মাস ধরেই বিতর্ক, বাগবিতন্ডা চলছে। এর আগে বেশ কয়েকটি জায়গায় নমাজ বাতিলও করেছিল গুরুগ্রাম প্রশাসন। যদিও সরকারিভাবে কিছু জানান হয়নি। তবে শুক্রবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর সাফ জানিয়ে দেন যে, খোলা জায়গায় নমাজ পড়লে তা বরদাস্ত করা হবে না। গুরুগ্রামের সেক্টর ৩৭-এ খোলা জায়গায় নমাজ পড়া নিয়ে বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন আপত্তি করার পরে এই মন্তব্য করেন খট্টর। 



তিনি বলেন, গুরুগ্রামে খোলা জায়গায় নমাজের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি তিনি এই পরিস্থিতির সমাধান সূ্ত্র বের করার কথাও বলেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "এখানে (গুরগাঁও) খোলা জায়গায় নমাজ পড়ার অভ্যাস বরদাস্ত করা হবে না...তবে আমরা সবাই মিলে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান খুঁজতে বসব সম্প্রতি। প্রত্যেকেরই (নমাজ পড়ার) সুবিধা পাওয়া উচিত, কিন্তু কেউ যেন অন্যের অধিকার লঙ্ঘন না করে। এটি অনুমোদিত হবে না।"


আরও পড়ুন, মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন দাপট, আজ থেকে মুম্বইয়ে জারি ১৪৪ ধারা


খট্টর বলেন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসককে বিষয়টি সমাধান করতে বলা হয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "যদি কেউ নমাজ পড়ে, নিজের জায়গায় পাঠ করে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ধর্মীয় স্থানগুলি এই উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে যে লোকেরা সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করে। এই জাতীয় অনুষ্ঠানগুলি খোলা জায়গায় করা উচিত নয়।" উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে, কিছু হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা নমাজের জায়গায় জড়ো হচ্ছে এবং "ভারত মাতা কি জয়" এবং "জয় শ্রী রাম" স্লোগান তুলছে।


এর আগেও আটটি জায়গায় নমাজের অনুমতি বাতিল করেছিল খট্টর প্রশাসন। গুরুগ্রামে নমাজ পড়ার জন্য মোট ৩৭ টি নির্দিষ্ট জায়াগা ছিল। তারমধ্যে থেকেই আটটি জায়গায় নমাজপাঠের অনুমতি বাতিল করা হয়েছিল। গুরুগ্রাম প্রশাসন জানিয়েছিল, সেই জায়গা গুলি ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল না, সাধারণের ব্যবহারের জন্যই জায়গাগুলি নির্দিষ্ট ছিল। তাই সেখানে নমাজ বা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যাবে না।