নয়াদিল্লি: শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপির ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি’র মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উদ্ধব ঠাকরে শপথ নিলেন। তার প্রাক্কালে জোটের তিনদলের নেতারা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি (সিএমপি) প্রকাশ করেন, যাতে ধর্মনিরপেক্ষতার উল্লেখ রয়েছে। এনসিপির দুই নেতা নবাব মালিক, জয়ন্ত পাতিল ও শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে নতুন সরকার কৃষিঋণ মকুব করবে, ও স্থানীয় যুবকদের জন্য চালু ও নতুন কোম্পানিতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করতে আইন বানাবে বলেও জানিয়েছেন।
পাশাপাশি সিএমপি-তে রাজ্যজুড়ে তালুক স্তরে এক টাকায় ক্লিনিক তৈরির প্রস্তাব রয়েছে, যাতে একেবারে ন্যূনতম শারীরিক চেক আপ, পরীক্ষানিরীক্ষা করানো যাবে। শিবসেনা ভোটপ্রচারে ১০ টাকায় পেটপুরে খাবারের বন্দোবস্ত করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সিএমপিতে। শিন্ডে বলেন, জোটের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ভারতীয় সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নেওয়া হবে। প্রতিটি সিদ্ধান্ত হবে সবার ক্ষেত্রে সমান। জাতপাত, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বিভেদ, বৈষম্য করা হবে না। নতুন সরকার কার্যভার গ্রহণ করলেই বুলেট ট্রেন, নানার শোধনাগার প্রকল্পের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা বালাসাহেব থোরাটও।
সিএমপিতে কৃষক ইস্যু, বেকারি, স্বাস্থ্য, শিল্প, সামাজিক ন্যয়, মহিলা সুরক্ষা, শিক্ষা, নগরোন্নয়ন, পর্যটন, সংস্কৃতির প্রসঙ্গ রয়েছে। মুখবন্ধে দুবার ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটিও রাখা হয়েছে। ‘হিন্দুত্ব’ রাজনীতির সমর্থক শিবসেনা কীভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার মতো ইস্যু গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। মুখবন্ধে বলা হয়েছে, জোট শরিকরা সংবিধানে উল্লেখিত ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ বজায় রাখতে দায়বদ্ধতা জানাচ্ছে। জাতীয় ও রাজ্যস্তরে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কিত ইস্যুগুলি, বিশেষত যেগুলি দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোয় প্রভাব ফেলতে পারে, শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি আলোচনার মাধ্যমে যৌথভাবে খতিয়ে দেখে ঐকমত্যে পৌঁছবে।
অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির যথাযথ রূপায়ণে দুটি কোঅর্ডিনেশন কমিটি গড়া হবে-একটি রাজ্য মন্ত্রিসভায়, অপরটি তিন শরিকের মধ্যে। বলা হয়েছে, গরিব ঘরের মেয়েদের নিখরচায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। মহিলাদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাবে। শহরে রাস্তার হাল উন্নত করতে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার ধাঁচে একটি স্কিম চালু করা হবে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের ফেলোশিপ দেওয়া হবে।