নয়াদিল্লি: খরচ বাঁচানোর লক্ষ্যে বিদেশে যাওয়া-আসার পথে বিরতির সময় হোটেলে থাকেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রযুক্তিগত কারণে বা জ্বালানি ভরার জন্য যখন বিমান দাঁড়িয়ে পড়ে, তখন তিনি বিমানবন্দরের টার্মিনালেই স্নান সেরে নেন। এমনই দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।


লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে যখন প্রধানমন্ত্রীরা বিদেশ সফরে যেতেন, তখন বিমানে জ্বালানি ভরার জন্য টেকনিক্যাল হল্টের সময় রাতে থাকার জন্য একটি হোটেলে ঘর বুক করা থাকত। এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি টেকনিক্যাল হল্টের জন্য হোটেল বুক করেননি। তিনি বিমানবন্দরেই থেকে যান, সেখানে স্নান করেন এবং বিমানে জ্বালানি ভরা হয়ে যাওয়ার পর গন্তব্যে রওনা হন। অতীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের জন্য আলাদা আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করা হত। মোদি নির্দেশ দিয়েছেন, চার-পাঁচজন একসঙ্গে যেতে পারেন এমন একটি গাড়ি বা বাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে মোদি অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ। তিনি যখনই কোনও রাজ্যে যান, তখন ২০ শতাংশেরও কম আধিকারিককে সঙ্গে নেন। তিনি সরকারি সফরে বেশি গাড়ি রাখারও বিরোধী। অতীতে আধিকারিকরা আলাদা গাড়িতে যেতেন। এখন তাঁরা একসঙ্গে বাস বা বড় গাড়িতে যান।’