প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে ১৩০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছিল। যার মধ্যে ৭৩০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র ও তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্র। জেরায় এমনই তথ্য মিলেছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর। এছাড়া, দাবি করা হয়েছে, বিদেশে পালানোর ছক ছিল বিকাশেরও।
যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রর মতোই কি বিদেশে পালানোর ছক ছিল তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রর? কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে দাবি, ভিন দেশের পাসপোর্ট তৈরির জন্য এক এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বিকাশ মিশ্র।
এজন্য ওই এজেন্টকে অগ্রিম টাকাও দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতার ভাই। ইডি সূত্রে আরও দাবি, প্রায় একমাস আগে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ নিয়ে কলকাতা থেকে দিল্লিতে এসে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বিকাশ মিশ্র। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চালানোর জন্য কয়লা ব্যবসায়ী লালাকে আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতাও করছিলেন তিনি। সূত্র মারফত এসব তথ্য পেয়েই, বিকাশের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে আরও দাবি, বিকাশকে জেরায় জানা গেছে, কয়লা পাচারকাণ্ডে মোট ১৩০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছিল। যুব তৃণমূল নেতা বিনয় ও তাঁর ভাই বিকাশ, ৭৩০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন।
ইডি সূত্রে আরও জানা গেছে, বিকাশকে এখনই কলকাতায় আনা হবে না। দিল্লিতেই জেরা করা হবে তাঁকে। পাশাপাশি, এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে সিবিআইকে যেসব বিষয় জানিয়েছিলেন, তার তথ্য পেতে সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ইডির তদন্তকারীরা।
দিল্লিতে এক মাস ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন বিকাশ। দিল্লিতে এজেন্টের মাধ্যমে দুটি পাসপোর্ট তৈরির কাজ চলছিল বলেও খবর মিলেছে। প্রচুর পরিমাণ টাকা নিয়েও কলকাতা থেকে দিল্লিতে গিয়েছিল বিকাশ। এমনই খবর সূত্রের। প্রাথমিকভাবে ইডির আধিকারিকরা দাবি করছেন, বিকাশ মিশ্রের ভিন দেশের পাসপোর্ট বানিয়ে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল।