কোয়েম্বাটোর: তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে নিগ্রহকারী ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করলেন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে। অভিযোগ, বছর ছেচল্লিশের ওই ব্যক্তি মহিলার ৩২ বছরের মেয়েকে ফোন করে অশালীন কথা বলত।


বছর পঞ্চাশের মহিলা মেয়ে ধনলক্ষ্মীর সঙ্গে পেরিয়ার নগরে থাকেন। মা মেয়ে দুজনেই বিধবা, ধনলক্ষ্মীর স্বামী মাসকয়েক হল গত হয়েছেন। কারামাডি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ে কিছুদিন আগে অচেনা নাম্বার থেকে একটি ফোন পান, তিনি সেটি ধরেন, বলে দেন, আর যেন তাঁকে ফোন না করা হয়। কিন্তু লোকটি থামেনি। সে বারবার তাঁকে ফোন করত ও যৌনগন্ধী কথাবার্তা বলত। ধনলক্ষ্মী ফোন রেকর্ড করে মাকে সব কিছু জানান।  অভিযুক্তের পরিচয় জানতে তাকে তাঁরা বাড়িতে ডাকেন। সে এলে প্রচণ্ড কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপরই রাগের মাথায় গাছে বেঁধে গাছের ডাল দিয়ে মারতে শুরু করেন তাকে। দুই পায়ে, মুখে, মাথায় সে গুরুতর চোট পায়।

এরপর মা মেয়ে তাকে কাছের রেললাইনে ফেলে দিয়ে আসেন। কয়েক মিটার সে হেঁটে যায়, তারপর রাস্তায় উঠে পড়ে গিয়ে মারা যায়।

কোয়েম্বাটোর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। খুনের মামলা জারি করেছে পুলিশ, ২ অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।