কলকাতা: ইউজিসি-র আর্জিকে মান্যতা রাজ্যের। ২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কলেজের ক্লাস। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরে ক্লাস শুরু। উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত।


বাংলায় অবশ্য এখনও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ। কলেজে স্নাতক স্তরে প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে দেশজুড়ে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ্যে আনে কেন্দ্র।


কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ট্যুইট করে বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মোতাবেক ইউজিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করতে হবে।


ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। প্রথম সিমেস্টার হবে ৮ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ। দ্বিতীয় সিমেস্টার হবে ৯ অগাস্ট থেকে ২১ অগাস্ট। ৩০ অগাস্ট পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরু। সেক্ষেত্রে ৯ মাসের কিছু বেশি এবং ১০ মাসের কিছু কম হবে শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ।


রাজ্যে ৩০ অক্টোবর স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়ার শেষ দিন। স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ১ নভেম্বর। পাশাপাশি, নভেম্বরে পুজোর ছুটি।


এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নভেম্বরের শুরু থেকেই ক্লাস করা সম্ভব? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী, ১০ মাসেরও কম সময়ে কীভাবে সিলেবাস শেষ হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে রাজ্য।


শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উনি (পোখরিয়াল) ট্যুইট করেছেন। আদেশনামা এলে আমরা ইউনিভার্টির সঙ্গে কথা বলব। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। কিন্তু সময় কমলে সিলেবাস শেষ হবে কী করে। পিজি-তে ভর্তি তো নভেম্বরে। সমস্যা তো আসবেই।


প্রথম সিমেস্টার এবং দ্বিতীয় সিমেস্টারের পর কয়েকদিন করে ব্রেক রাখা হয়েছে। এবার কি তবে, আলাদা করে গরমের ছুটি এবং পুজোর রইল না? ইউজিসি-র সিদ্ধান্ত ঘিরে ওঠে প্রশ্ন।


অন্যদিকে, সূত্রের খবর, ইউজিসি বলেছে, পরীক্ষার ফল ঘোষণায় দেরি হলে, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিকল্পনা করে ১৮ নভেম্বর থেকে অ্যাকাডেমিক সেশন শুরু করতে পারে।


কিন্তু, ইউজিসির ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজ্য সহমত পোষণ করবে কি না, সেটাই ছিল দেখার। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন রাজ্য জানিয়ে দিল, ১ নভেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে স্নাতকস্তরের ক্লাস। নভম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের প্রথম থেকে শুরু হবে স্নাতকোত্তরের ক্লাস।