ভাগবতের মন্তব্য ‘দেশবিরোধী’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী’ বলে অভিযোগ করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার দাবি করেছেন তিনি। এল বি নগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, অভিযোগকারী ভাগবতের মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে কী করে অন্য ধর্মের লোকজনকে ‘হিন্দু’ বলা যায়, প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশকর্তাটি বলেছেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। কোনও পদক্ষেপ করার আগে আমরা আইনি মতামত নেব।
দিনকয়েক আগে তেলঙ্গানা আরএসএস আয়োজিত বিজয় সংকল্প শিবিরমের অঙ্গ হিসাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঙ্ঘ প্রধানের মন্তব্যে ঝড় ওঠে। দেশকে একজোট রাখতে ‘হিন্দু পথে’ সমাধানসূত্র খুঁজে বের করায় হিন্দু সমাজ সক্ষম বলে জানান তিনি। বলেন, দেশের ১৩০ কোটি জনগণকেই হিন্দু বলে গণ্য করে আরএসএস। কে হিন্দু, ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ধর্ম ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে যাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা আছে, যারা ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা করে, তারাই হিন্দু। দেশের ১৩০ কোটি মানুষকেই হিন্দু হিসাবে দেখে আরএসএস। এরকমই একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়তে চায় সঙ্ঘ। ভাষা, ধর্ম বা অঞ্চল নির্বিশেষে ‘ভারত মায়ের যে কোনও প্রকৃত সন্তান’ই হিন্দু। হনুমন্ত অভিযোগনামায় বলেছেন, ভাগবতের বক্তব্য শুধুমাত্র মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সিদের অনুভূতি, বিশ্বাসকেই আঘাত করেনি, তা ভারতের সংবিধানের সারবস্তু, চেতনারও সম্পূর্ণ পরিপন্থী।