মেদিনীপুর: হাতে আর মাত্র কয়েক মাস, তারপরই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এখন এগোচ্ছে সব দল। সাধারণ মানুষের মন জয় করাই এখন উদ্দেশ্য রাজনৈতিক শিবিরগুলির। এই আবহে এবার মানুষের অভিযোগ সংগ্রহ করার অভিযানে নামব বিজেপি। মেদিনীপুরে ট্যাবলোয় রাখা হল অভিযোগ বাক্স। যেখানে অভিযোগ জানানো যাবে শাসক-বিরোধী সবার বিরুদ্ধেই। আবার পরামর্শ দেওয়া যাবে গেরুয়া শিবিরকে। আর এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

অভিযোগ জানানোর বাক্সের একদিকে লেখা রয়েছে, আপনার মতামত হবে বিজেপির ঘোষণাপত্র। আরেকদিকে লেখা, চার্জশিট বা অভিযোগপত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের, মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জুড়ে ঘুরছে বিজেপির এই ট্যাবলো। বিজেপির এই বাক্সে যেমন বর্তমান শাসকদলের বিরুদ্ধে অভাব-অভিযোগ জানানো যাবে, তেমনই বিজেপিকে পরামর্শও জানানো যাবে।

রবিবার বিকেলে খড়গপুরের সভায় এই ট্যাবলোর সূচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই রকম ট্যাবলো ঘুরবে। সেই ট্যাবলোতে থাকা "অভিযোগ বক্সে" স্থানীয় অধিবাসীরা তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারবে। পাশাপাশি, বিজেপির সরকার গঠিত হলে কেমন শাসনব্যবস্থা মানুষ চায়, কী কী সুযোগ, সুবিধা রাজ্যবাসী চায় তাও মতামত আকারে এই প্রচার গাড়িতে থাকা "বক্সে" জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

বিজেপির ট্যাবলো কর্মসূচিকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি। একদিনেই কমপ্লেন বক্স ভর্তি হয়ে যাবে বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, বিভিন্ন নাটক পন্থীর মত বিজেপির আবার নতুন নাটক পন্থী। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ নেওয়ার যদি এতই শখ। কমপ্লেন বক্স ট্যাবলেট না ঘুরিয়ে একটা জায়গায় রেখে দিন। দেখবেন একদিন বাদে কমপ্লেন বক্স ভর্তি হয়ে যাবে। যাতে লেখা থাকবে বিজেপি মানে চোর আর ডাকাতের দল।

ট্যাবলো নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চললেও, চিরকুটের মাধ্যমে অভাব-অভিযোগ বা পরামর্শ দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত লোকসভা ভোটে, পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ১৫টি বিধানসভাকেন্দ্রের মধ্যে, ৮টিতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৭টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কাছে ৮ হাজার ৬৯৪ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। এখন দেখার বিধানসভা ভোটে কে কতটা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে।