নয়াদিল্লি: মহুয়া মৈত্রের পর এবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে (Dhankhar Mimicry Row) পমানের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ল সংসদের নীতি কমিটিতে।  কল্যাণকে বরখাস্তের দাবিতে সংসদের নীতি কমিটিতে আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর। রাহুল গাঁধী-সহ (Rahul Gandhi) বরখাস্তের বাকি বিরোধী সাংসদদেরও বহিষ্কারের আবেদন। (Parliament Ethics Commitee)


সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দল সংসদের নীতি কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। রাজ্যসভা এবং লোকসভা, দুই কক্ষেরই নীতি কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কল্যাণ, রাহুল এবং ঘটনার সময় বিরোধী শিবিরের যত জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন, সকলকে বহিষ্কারের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। (Rahul Gandhi)


অভিযোগে বলা হয়, ‘রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী এবং অন্য সাংসদদের অবমাননাকর মন্তব্য, উপহাস এবং অনুকরণের ধরন নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছি। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে কল্যাণ ধনকড়কে নকল করছেন, হইহই করে বাকিরা তাঁকে উৎসাহ জোগাচ্ছেন এবং এই লজ্জাজনক আচরণ ক্যামেরাবন্দি করছেন রাহুল। বিরোধী সাংসদদের এই আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক এবং সাংসদপদের মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়’।


আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: নীরবতা বড্ড কানে বাজছে, এই আপনাদের শিক্ষা? ‘মিমিক্রি’ বিতর্কে রাহুলকে আক্রমণ ধনকড়ের


জিন্দল আরও বলেন, ‘সংসদীয় আচরণ এবং নিয়মেরও পরিপন্থী এই আচরণ। দেশের সংসদের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন যিনি, যিনি দেশের উপরাষ্ট্রপতি, তাঁর প্রতি রাজ্যসভা এবং লোকসভা সাংসদদের এই আচরণ অত্যন্ত অসম্মানজনক। ওই সাংসদরা নীতি কমিটির আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের আচরণে সংসদ এবং সাংসদদের মর্যাদা খর্ব হয়েছে, তাই সকলকে বহিষ্কার করা উচিত’।


লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় সরকারের বিবৃতি চেয়ে সরব বিরোধীরা, তার জেরেই পর পর ১৪১ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। বুধবারও রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হন বিরোধী শিবিরের দুই সাংসদ। সেই আবহেই মঙ্গলবার সংসদের বাইরে বিক্ষোভে শামিল হন বিরোধীরা। সেখানে ধনকড়কে নকল করে দেখান কল্যাণ। তাঁর অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করেন রাহুল। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের আক্রমণ করতে শুরু করেছেন বিজেপি-র নেতা-মন্ত্রীরা। রাহুল যদিও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। কিন্তু কল্যাণের দাবি, মিমিক্রি এক রকমের শিল্প। এতে কাউকে অপমানের প্রশ্নই ওঠে না।