ঋত্বিক প্রধান, মন্দারমণি: পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণির দাদনপাত্রবাড়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরুতেই জটিলতা। ২০০৬ সাল থেকে বন্ধ বেঙ্গল সল্ট প্রাইভেট লিমিটেড। সেই জায়গায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয় সরকার। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস  দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি।


স্বাধীনতার আগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের হাত ধরে তৈরি হয় বেঙ্গল সল্ট প্রাইভেট লিমিটেড। কিন্তু  বাম আমলে ২০০৬-এ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ২০২০ সালে ওই জায়গাতেই  সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ নেয় তৃণমূল সরকার। সম্প্রতি কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজের শুরুতেই দেখা দিয়েছে জটিলতা। বন্ধ বেঙ্গল সল্ট কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে চিঠি দেয়। এর জেরে আপাতত বন্ধ কাজ।


মান্দারমণি কোস্টাল থানার অন্তর্গত দাদনপাত্রবাড়। স্বাধীনতার আগে সেখানেই গড়ে ওঠে বেঙ্গল সল্ট। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় শিলান্যাস করেন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের। ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সৌর প্রকল্পের জন্য আনুমানিক খরচ ৭৫০ কোটি টাকা। এই জায়গাতেই বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের  শুরুতেই  বিপত্তি। বেঙ্গল সল্ট প্রোজেক্ট বন্ধ হওয়ার সময় বেতন বকেয়া ছিল অনেকেরই। উৎপাদন বন্ধ বকেয়া না পাওয়ায় অনেকেই এই প্রোজেক্ট এর মধ্যে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করতে থাকেন।। প্রোজেক্টের মধ্যে থাকা পুকুরগুলোতে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্থানীয়দের বক্তব্য এই জায়গায় প্রজেক্ট হোক তাতে কোনো আপত্তি নেই তাদের। কিন্তু বকেয়া,পুনর্বাসন  ও কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে হবে ।


রামনগর তথা মৎস্য মন্ত্রী বলেন, “এই ব্যাপারে ওঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। আগামী সপ্তাহে আবার আলোচনায় বসা হবে। ইতিমধ্যেই ডিএমকে বলেছি ওঁদের দাবি  নিয়ে  ফাইল রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাতে। এখন আপাতত প্রোজেক্টের গ্রাউন্ড লেভেলিং এর কাজ চলছে । ভোট ও কোরনা বিধিনিষেধের জন্য  বেঙ্গল সল্টের কর্মীদের দাবি নিয়ে আলোচনা কিছুটা ঢিলে হয়েছিল বলেই  এই সমস্যা । তবে আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করে ফেলব ।"