বহরমপুর : একদিকে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। অন্যদিকে পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির অপর এক সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এনিয়ে এবার সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।


আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গ উত্তরবঙ্গ করে যে আওয়াজ ওঠানো হয়েছে তার পিছনে সূক্ষ রাজনীতির চাল আছে। কেউ যদি অস্বীকার করে যে আমরা জানি না ওরা জানে, সেই তত্ত্বে আমি বিশ্বাস করি না। বিজেপি একটা সংগঠিত দল, অথচ সেই দলের নেতাই জানেন না যে তাঁদের দলের আর এক নেতা যা খুশি তাই বলছেন। একথা আমি বিশ্বাস করি না। বিজেপির একজন সাংসদ যখন বলছেন, তখন কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতৃত্বে জানেন না, এসব ফালতু কথায় আমি বিশ্বাস করি না। এটা বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত। এটা নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।"


পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। গতকাল তিনি বলেন, ২ তারিখের পর যে সন্ত্রাস হয়েছে, তারপর এখান থেকে আওয়াজ উঠেছে যে নর্থবেঙ্গল আলাদা হলে আমরা সুরক্ষিত থাকব। আলাদা রাজ্য হলেও ভাল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও ভাল। 


অন্যদিকে এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও চাকরির জন্যই পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের প্রয়োজন। বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর আর হুগলির কিছুটা অংশ নিয়ে ১৮০৩-১৮৩২ পর্যন্ত যে পৃথক জঙ্গলমহল জেলা ছিল, সেটিকেই আলাদা রাজ্য করা হোক বলে দাবি জানিয়েছেন সৌমিত্র। এদিন তিনি বলেন, “নিজেদের বাঁচাতে এবং বাংলার মানুষের চাকরির জন্য, উন্নয়নের জন্য আমরা জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি তুলতেই পারি। এটা কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে নয়। মণিপুর-মিজোরাম আছে, তারা ডেভেলপমেন্ট করছে।’’  


বিজেপি সাংসদের দাবি ঘিরে অধীরের সুরেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, দায়িত্ব জ্ঞানহীন প্রচারমুখী মন্তব্য। ঝাড়গ্রাম সহ যে জেলার নাম সৌমিত্র খাঁ বললেন সেখানে গোহারা হয়েছে বিজেপি। এটা বিজেপির গেম প্ল্যান।