নয়াদিল্লি: এআইসিসি-র নতুন সাধারণ সম্পাদক ও ইন চার্জদের তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বরিষ্ঠ নেতা গুলাম নবি আজাদ ও মল্লিকার্জুন খার্গে। শেষতম সিডব্লিউসি বৈঠকে গুলাম নবি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন।

খার্গে, আজাদ ছাড়াও তালিকায় নেই অম্বিকা সোনি, মোতিলাল ভোরা এবং লুজেনিও ফালেইরোর নাম। আজাদ ছিলেন হরিয়ানার দায়িত্বে, তাঁর জায়গায় এসেছেন বিবেক বনশল। তবে আজাদকে কংগ্রেস কার্যনির্বাহী কমিটিতে রাখা হয়েছে। দলীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালা কর্ণাটকে দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। প্রিয়ঙ্কা ভঢরাকে দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের সাধারণ সম্পাদকের পদ। হরিশ রাওয়াত পঞ্জাব, মুকুল ওয়াসনিক মধ্য প্রদেশ, অজয় মাকেন রাজস্থান, তারিক আনওয়ার কেরালা ও লাক্ষাদ্বীপ, জীতেন্দ্র সিংহ অসম এবং উমেন চান্ডি অন্ধ্র প্রদেশের দায়িত্ব পেয়েছেন।

কার্যনির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, দিগ্বিজয় সিংহ, মনমোহন সিংহ, গুলাম নবি আজাদ, এইচকে পাটিল, সলমন খুরশিদ, পবন বনশল, দীনেশ গুন্ডুরাও, হরিশ রাওয়াত, জয়রাম রমেশ, মনীশ চাত্রাথ ও কুলজিৎ নাগরা। অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়ার সাহায্যের জন্য একটি স্পেশাল কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

দিনকয়েক আগে ২৩ জন কংগ্রেস নেতা সনিয়াকে চিঠি লিখে দল ঢেলে সাজার দাবি করেন। রাহুল প্রশ্ন করেন সনিয়া যখন হাসপাতালে ভর্তি, রাজস্থানে দল রাজনৈতিক সঙ্কট এড়াতে লড়ছে, তখন এই চিঠি লেখার অর্থ কী। এরপর ২৪ অগাস্ট সিডব্লিউসি বৈঠক হয়, সেখানে আজাদ প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেন, এমনকী পদত্যাগেরও প্রস্তাব দেন।