নয়া দিল্লি : তাঁকে নিয়ে মানুষের উৎসাহের শেষ নেই। রাজনীতির পরিসর ছাড়িয়ে সব ক্ষেত্রের কমবেশি অনেকেই তাঁর গুণগ্রাহী, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী। শুধু তা-ই নয়, কবে তিনি বিয়ে করবেন, এই প্রশ্নও বারবার ঘুরেফিরে আসে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর এবার নিজস্ব কায়দায় দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)।
জয়পুরের (Jaipur) মহারানি কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন রাহুল। তারই একটা ভিডিও মঙ্গলবার সকালে সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। সেখানে জাতিগত সুমারি, স্বাধীনতা সংগ্রামে মহিলাদের ভূমিকা থেকে আর্থিক স্বাধীনতার প্রয়োজন, মজার ছলে প্রশ্ন, পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে। এক মহিলা রাহুলকে জানতে চান, "আপনি প্রচণ্ড স্মার্ট ও সুদর্শন। কেন বিয়ে করার কথা ভাবেননি ?" বছর ৫৩-র মহিলার এই প্রশ্ন শুনে অবশ্য হকচকিয়ে যাননি রাহুল। তাই উত্তরও দিতে দেরি করেননি। রাহুল বলেন, "আমি সম্পূর্ণরূপে কাজ এবং কংগ্রেস দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছি।"
পছন্দের খাবার কী রাহুলের ? তার উত্তরও দিলেন মজার ছলে। রাহুল জানান, 'করলা, মটর শুঁটি ও পালং শাক ছাড়া, সবই চলে তাঁর।'
কয়েকদিন আগেই বাইক নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন লাদাখে। পুরোদস্তুর বাইকারের বেশে রাহুল সেই সময় চর্চায় উঠে এসেছিলেন। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সেই ছবি নজর কেড়েছিল। তবে, লাদাখই কি রাহুলের পছন্দের জায়গা ? রাহুলের পছন্দের জায়গা জানতে চাওয়া হয় আলোচনাপর্বে। রাহুল জানান, তিনি সবসময় নতুন জায়গায় যেতে ভালবাসেন।
তাঁর বাবা প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর সৌম্যকান্তি চেহারা বরাবর চর্চায় থেকেছে। রাহুল নিজেও কম সুদর্শন নন। ত্বক সুন্দর রাখতে তিনি কী ব্যবহার করেন ? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে আলোচনাপর্বে। কংগ্রেস নেতার সহজাত উত্তর, মুখে কখনোও ক্রিম বা সাবান ব্যবহার করি না। শুধুমাত্র জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলি।
রাহুলের বক্তব্য, স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম অবদান ছিল না মহিলাদের। কিন্তু, তাঁদের অধিকার কেন কম ? এর পাশাপাশি মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা নিয়েও তিনি মতামত জানান। রাহুল বলেন, "মহিলাদের কখনোই বলা হয়নি কীভাবে অর্থ কাজ করে, কীভাবে ক্ষমতা চলে বা টাকা কী ? গত ২০ বছর ধরে আপনারা পড়াশোনা করছেন। কিন্তু, কেউ আপনাদের বলেননি যে এটা অর্থ, এটা তার সংজ্ঞা।"
এক ছাত্রী তখন উঠে উত্তর দেন, "মহিলারা সেটা জেনে গেলে স্বাধীন হয়ে উঠবেন, তাই তাঁদের এবিষয়ে শেখানো হয় না।"