মুম্বই: বিনা লড়াইয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন কংগ্রেস বিধায়ক নানা পাটোলে। কংগ্রেস গতকাল তাঁকে শাসক শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের স্পিকার পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে। বিজেপি মুরবাদের দলীয় বিধায়ক কিষাণ কাঠোরকে নিজেদের প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করায়। কিন্তু আজ স্পিকার নির্বাচনের আগে সরে দাঁড়ান কাঠোর। পাটোলের নির্বাচনে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পাটোলেকে স্পিকারের আসনের দিকে এগিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নানা পাটোলে কৃষক পরিবার থেকে এসেছেন, তিনি প্রত্যেককে ন্যয়বিচার দেবেন, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
শনিবারই বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষায় পাশ করেছে উদ্ধবের সরকার। ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় জোটের ১৬৯ জনই আস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। বিজেপির ১০৫ বিধায়ক সভাত্যাগ করেন। তখনই বিনা লড়াইয়েই জয়ের আশা প্রকাশ করেছিলেন পাটোলে। তিনি বলেছিলেন, ওদের (বিজেপি) গণতন্ত্রে প্রার্থী দাঁড় করানোর অধিকার আছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্যই হল, স্পিকার কোনও লড়াই ছাড়াই নির্বাচিত হন। সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই আমরা আশাবাদী। প্রসঙ্গত, এনসিপি-র দিলীপ ওয়ালসে পাটিল শুক্রবারই প্রোটেম স্পিকার নিযুক্ত হয়েছিলেন।
পাটোলে ও কাঠোর, দুজনেই চতুর্থবার বিধায়ক হয়েছেন।
বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ আজ বিধানসভায় বলেন, কিষাণ কিশোরকে স্পিকার প্রার্থী মনোনীত করেছিলাম আমরা। কিন্তু সর্বদল বৈঠকে স্পিকার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ঐতিহ্য আছে বলে উল্লেখ করে অন্য দলগুলি অনুরোধ করে, আমরা তাঁকে তুলে নিই।
পাটোলে অতীতে কংগ্রেসে ছিলেন। দল ছেড়ে ২০১৪-য় বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়ে জেতেন। কিন্তু ২০১৭-য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরেন।
কাঠোর ২০০২ সালে ঠানে জেলা পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ -এ প্রথম ঠানের অম্বরনাথ থেকে এনসিপির টিকিটে প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯, ২০১৪, ২০১৯-এও মুরবাদ থেকে জেতেন। ২০১৪, ২০১৯-এ তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লড়েন।
এদিকে ফড়নবিশ আজ বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন। স্পিকার পাটোলে একথা ঘোষণা করেন। ফড়নবিশকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরে, মন্ত্রীরা।