নয়াদিল্লি: লোকসভায় ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব, গণহারে বিরোধী সাংসসদের সাসপেনশন ঘিরে বেনজির পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে সব কিছু ছাপিয়ে এই মুহূর্তে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে 'মিমিক্রি' ইস্যু, যেখানে সংসদের বাইরে মক পার্লামেন্ট চলাকালীন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে (Dhankhar Mimicry Row) নকল করে দেখান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাহুল।


বুধবারও রাজ্যসভার আলোচনায় উঠে এসেছে 'মিমিক্রি' বিতর্ক। সেখানে রাহুলের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ধনকড়। তার পরই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, "সাংসদরা বসেছিলেন, আমি ওঁদের ভিডিও রেকর্ড করি। আমার ফোনে সেই ভিডিও রয়েছে। যা দেখাচ্ছে মিডিয়া দেখাচ্ছে।"


ধনকড়কে নকল করে উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদকে অসম্মান করা হয়েছে, কৃষক সমাজ, ধনকড় যে সম্প্রদায়ের মানুষ, সেই সম্প্রদায়ের অপমান হয়েছে বলে দাবি করছে বিজেপি। বুধবার রাজ্যসভায় ধনকড় নিজেও তেমনই দাবি করেছেন। যদিও রাহুলের বক্তব্য, "কেউ কিছু বলেননি...আমাদের ১৫০ জন সাংসদকে বের করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। আদানি, রাফাল, বেকারত্ব নিয়ে আলোচনা নেই কোথাও। আমাদের সাংসদরা হতাশ, বাইরে বসে রয়েছেন। তার পরও মিমিক্রি নিয়ে আলোচনা?"



আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: নীরবতা বড্ড কানে বাজছে, এই আপনাদের শিক্ষা? ‘মিমিক্রি’ বিতর্কে রাহুলকে আক্রমণ ধনকড়ের


মিমিক্রি বিতর্কে বুধবার ফের রাজ্য়সভায়সরব হন ধনকড়। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহকে প্রশ্ন করেন। বলেন, "দিগ্বিজয়জি আপনি অভিজ্ঞ নেতা। আমার যন্ত্রণার কথা শুনতে চাইছেন না। আপনাদের দলের বয়স ১৩৮ বছর। কিন্তু আপনার, খড়্গেজির নীরবতা আমার কানে বাজছে বড্ড। প্রত্যেকে জানেন কী ঘটছে। ভিডিও তুলে আনন্দ পাওয়া, প্রশান্তি লাভ করাই কি আপনাদের সংস্কার? এত অধঃপতন হয়ে গিয়েছে?"


এদিন ধনকড় আরও বলেন, "শুনে রাখুন, জগদীপ ধনকড়কে যত খুশি অপমান করুন, আত্মাহুতি দিতে রাজি আমি, রক্তও গিলতে পারি, কিছু যায় আসে না আমার। কিন্তু ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি, কৃষ সমাজ, আমার সম্প্রদায়ের অপমান সহ্য করব না। পদ এবং সংসদের গরিমা ধরে রাখা আমার কর্তব্য়। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না কী ঘটেছে।" মূলত রাহুলকেই নিশানা করেন ধনকড়। যদিও কল্যাণের দাবি, কাউকে নকল করাও এক রকমের শিল্প। প্রধানমন্ত্রী নিজে লোকসভায় এই কাজ করেছেন আগে। তিনি কাউকে আঘাত করতে চাননি। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক বা কাউকে অপমান করার মতো কিছু নেই।